পিতাকে হত্যা ও মাকে বাড়ি থেকে বের করার অভিযোগ এনে থানায় বৃদ্ধা

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২, ০৪:২০ পিএম

বাগেরহাটে এবার মেয়ের বিরুদ্ধে পিতাকে থাপ্পর মেরে হত্যা ও সম্পত্তি লিখে নিয়ে নিজের গর্বধারিনী মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অসহায় মা আবেজান নেছা (৭০) বাদি হয়ে নিজের মেয়ে হাসিয়ারা বেগমকে (৪২) অভিযুক্ত করে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের ঘোনারহুলা গ্রামে। আবেজান নেছা কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক শেখের স্ত্রী এবং অভিযুক্ত হাসিয়ারা বেগম ঘোনারহুলা গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল বাবর আলী শিকদারের স্ত্রী।

অসহায় বৃদ্ধা আলেজান নেছা তার লিখিত অভিযোগে জানান, আমার স্বামী মৃত আব্দুল খালেক শেখের ৩৭ শতক জমি আমার মেয়ে হাসিয়ারা বেগম ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায় ক্রয় করার চুক্তি করে। হাসিয়ারা বেগম দলিলের পূর্বে আমার স্বামীকে ৩৬ হাজার টাকা দিলে আমার স্বামী দলিল রেজিঃ করে দেয়। বাকী পাওনা ৭৪ হাজার টাকা চাইলে হাসিয়ারা আমার স্বামীর মুখে থাপ্পর মারে, থাপ্পর সহ্য করতে না পেয়ে তৎক্ষনাৎ আমার স্বামী স্টোক করে পরে দুঃখ, কষ্ট ক্ষোভে সে মারা যায়। আমার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর চরম অসহায়ের মধ্যে পড়ে যাই।

আমার কোন আয় না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়ে আমার মেয়ে হাসিয়ারার কাছে আশ্রয় নিতে হয়। আমার আমৃত্যু পর্যন্ত ভরন পোষন ও দেখাশুনা করবে বলে হাসিয়ারা আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার নামের ৯৫ শতক জমিও লিখে নেয়। কয়েক দিন যেতে না যেতেই হাসিয়ারা ও তার পরিবারের লোকজন আমার সহিত খারাপ আচরন শুরু করে এবং আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। আমি বর্তমানে খুব অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। খেয়ে পরে বেঁচে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। এ বিষয়ে হাসিয়ারা বেগম কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: