সন্ত্রাসের জনপদ ফের অশান্ত, এক গ্রামে দেড় যুগে ১১ খুন

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০৭:১৪ পিএম

সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত নাটোরের সিংড়ার বামিহাল গ্রাম আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে। ছড়িয়ে পড়ছে আগের মত আতঙ্ক সর্বশেষ দুপক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন।

গত রোববার এই সহিংসতা ঘটে হামলার দিন যারা মারা যান আফতাব নামে এক জন এবং গত সোমবার রুহুল আমিন নামে অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এনিয়ে দের যুগে ১১ খুনের ঘটনা ঘটল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দিন এর অনুসারী দুলাল আকন্দের বাড়ি থেকে পুলিশ সম্পত্তির চোরাই বৈদ্যুতিক মোটর উদ্ধার করে এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আসামিরা গ্রেফতার হয়, আসামিরা জামিনে বের হলে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা।

গত রোববার রাত ৮ টার দিকে আফতাবের নেতৃত্বে কয়েকজন ফরিদ উদ্দিন এর অনুসারী আবু মুসা ও রুহুল আমিনের দসোপাড়া বাড়িতে হামলা চালায় পরে বামিহাল বাজারে আফতাব ও তার সমর্থকদের অপর পাল্টা হামলা করে রুহুল ও মুসার লোকজন দু'পক্ষের সংঘর্ষে আফতাব রুহুল আমিনসহ উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এ ছাড়া রুহুল আমিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর চারটার দিকে মারা যান।

আফতাবের প্রতিপক্ষ ফরিদ উদ্দিন বলেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বানোয়াট, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আফতাবকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়, এলাকার বিএনপি নেতা কুদ্দুস অনুসারীদের হামলায় নিহত হন আফতাব৷ সিংড়া সার্কেলের সহকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিল আকতার বলেন, গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু'পক্ষের ৫জনকে বাকি হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বামিহাল বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠে একাধিক গ্রুপ৷ তারা আধিপত্য বিস্তারে একে অপরের ওপর হামলা চালায়৷ এলাকাটি চলনবিলের প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় একসময় এখানে সর্বহারাদের অবাধ বিচরণ ছিল, তাই স্থাপন করা হয়েছিল পুলিশ ক্যাম্প৷ গত প্রায় দেড় যুগে আর্মড পুলিশসহ নয়জন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে৷

স্থানীয়রা জানান, ২০০৩ সালের নতুন করে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠে বিভিন্ন গ্রুপের আধিপত্য বিএনপি'র ছাত্র ছায়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে কুদ্দুস বাহিনী তাদের সঙ্গে আফজাল বাহিনীর বিরোধ চরমে ওঠে৷ কুদ্দুস ফরিদ বাহিনীর হামলার শিকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল বলেন, বিহারের নেতারা সন্ধানী যে দল ক্ষমতায় আসে যোগ দেয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: