একদিনের পরিচয়ে বন্ধুত্ব, পরদিন হলেন লাশ

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪৭ পিএম

বরগুনার আমতলীতে পানিতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু ঘটেছে। নিহত কিশোরের নাম কাওসার (১৩)। সে একদিন আগেই ঢাকা থেকে ঘুরতে আসেন বরগুনায়। পরে আমতলীর পায়রা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পরে তার লাশ উদ্ধার করেন পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। এর আগে আজ বুধবার দুপুর ১টার এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কাওছারের বন্ধু সিহাবের সাথে আমতলীতে বেড়াতে আসেন। পরে বুধবার দুপুরে পায়রা নদীতে গোসল করতে নেমে নদীর স্রোতে অনেক দুরে চলে যায়। নিমিষেই কিশোর ডুবে যায়। পরে বন্ধু সিহাব স্থানীয়দেরকে জানালে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন পরে ডুবুরীরা তাকে মৃত উদ্ধার করে। জানা যায়, আমতলী-ঢাকা নৌ রুটের এমভি শতাব্দী বাঁধন লঞ্চের কেবিন বয় সিহাবের সাথে আমতলী ঘুরতে আসেন কাওছার।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার(১১ অক্টোবর) সকালে ঢাকার সদর ঘাটে সিহাবের সাথে কাওছারের পরিচয়ের পর ওই লঞ্চে বিকেলে রওয়ানা হয়ে আজ বুধবার সকালে আমতলী আসে কাওছার। বুধবার দুপুর ২টার সময় দুই বন্ধু কাওছার ও সিহাব আমতলীর পায়রা নদীতে গোসল করতে নামার পর কাওছার নিখোঁজ হন। নিখোঁজের খবর পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলের প্রধান মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল ডুবুরী আমতলীতে আসেন। পরে অনেক চেষ্টা করে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নিহত কাওছারের লাশ উদ্ধার করেন তারা। এবিষয়ে নিখোঁজ কাওছারের বন্ধু সিহাব জানান, ঢাকায় সদর ঘাটে কাওছারের সাথে মঙ্গলবার সকালে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর সে আমার সাথে আমতলী ঘুরতে আসে। বুধবার দুপুরে আমরা দুজন গোসল করতে পায়রা নদীতে নামি। পানিতে ডুব দেওয়ার পর কাওছার না উঠায় আমি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে আর পায়নি।

তবে সে নিহত কিশোরের সম্পর্কে কিছুই জানে না। এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কেম এম মিজানুর রহমান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এবিষয়ে আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। কোন ওয়ারিশ না পাওয়া গেলে আঞ্জুমান মফিদুলের নিকট লাশ হস্তান্তর করে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: