আক্কেলপুরে ঢাকা ফেরৎ দুই জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, হাসপাতালে ভর্তি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ঢাকা থেকে আসা দুই ব্যক্তির শরীরের ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত দুই ব্যক্তি আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্ত দুই ব্যক্তি উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বারইল গ্রামের আবের আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৫)। তিনি ঢাকার মগবাজার এলাকায় এলাকায় রিক্সা চালাতেন। অপর একজন সোনামুখী ইউনিয়নের চকরঘুনাথ গ্রামের সেলিম হোসেন মন্ডলের ছেলে নয়ন হোসেন (২৩)। তিনি ঢাকার উওরা এলাকায় নবনির্মিত একটি ভবন দেখাশোনা করতেন।
রোগী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ৬-৭ দিন জ্বরে আক্রান্ত থাকার পর সিরাজুল ইসলাম গত সোমবার এবং নয়ন হোসেন গত শুক্রবার আক্কেলপুরে আসেন। জ্বর ও শরীরে ব্যাথা থাকায় তারা চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের জ্বরের কারণ নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। পরীক্ষার ফলাফলে তাদের শরীরে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু শনাক্ত হয়। তারা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ও তাদের শারীরিক উন্নতি হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.আসিফ আদনান ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে প্রতি ৬ ঘন্টায় আক্রান্ত ব্যক্তির সর্বনিম্ন ১ বার প্রসাব হতেই হবে। তিনি আরো বলেন, জমে থাকা পরিষ্কার পানিও প্রতিদিন ফেলে দিতে হবে। মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে হবে। এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুরভাব বেড়ে গেলে দিনেও মশারির ভেতরে থাকতে হবে। জ্বর হলে শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে হবে ও চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে হবে। তবে সাধরণ জ্বর এবং ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে পার্থক্য হলো মাথা, মাংসপেশী সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচুর ব্যাথা হয় ও ৬ দিন অতিবাহিত হলে শরীরে লাল লাল দাগ দেখা দেয়।
আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী জানান, পূর্ব থেকেই পৌরসভার পক্ষ থেকে মশা নিধনে স্প্রে করা হয়। এরপরও আক্কেলপুরে দুইজন রোগী সনাক্ত হওয়ার পরে তাৎক্ষণিক মশা নিধনে আরো অধিক গুরুত্ব দিয়ে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে স্প্রে করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. হাবিবুল হাসান বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। নির্মাণসামগ্রী, ময়লা আবর্জনা সহ মশা জন্ম নেয় এমন স্থান সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: