চা খেয়ে অচেতন চেয়ারম্যানের পরিবার!

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৯:০৬ পিএম

পঞ্চগড়ে চা খেয়ে চেয়ারম্যান পরিবারের তিনজন সদস্য অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। চা খাওয়ার পর থেকেই চেয়ারম্যানের বাবা সামছুজ্জোহা (৬০) মা কাদিরা বেগম (৫৫) এবং চেয়ারম্যানের স্ত্রী কাশমিরা তাহির (৩০) অচেতন হয়ে পড়েন। মিলন চেয়ারম্যান তার স্ত্রীসহ বাবা মাকে ঘুমাতে দেখে বার বার ডেকে জাগিয়ে তোলার চেস্টা করেন।

এসময় তারা অচেতন হলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে কাদিরা বেগম ও কাশমিরা তাহির হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সামছুজ্জোহার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিক্যালে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে নেশাজাতীয় কোন দ্রব্য চায়ের সাথে মিশিয়ে দিয়ে তাদের অজ্ঞান করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলন সাংবাদিকদের জানান, আজ সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসার সবাই ঘুমাচ্ছে। প্রতিবেশী একজন মহিলা আমার বাসায় চা খাওয়ার পর ঘুমিয়ে রয়েছে। কয়েকবার আমার স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেও চেতন হচ্ছেনা। পাশের ঘরে বাবা দুজনকেও ডাক দেওয়ার পর তারাও ঘুমাচ্ছে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় বাবা মাকে নিয়ে পঞ্চগড় আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসি। আসলে পঞ্চগড়ের তেুঁতুলিয়া উপজেলায় বর্তমানে মলম পার্টির কথা শুনেছি আজ আমার বাসায় এই ঘটনা।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এম মাহবুবুল আলম জানান, বাংলাবান্ধা থেকে দুজন নারী এবং একজন পুরুষ রোগী ঘুমন্ত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। আমার ধারনা নেশাজাতীয় কোন কিছু খাওয়ানো হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা পর বলা যাবে আসলে তাদের কি হয়েছে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু সাইদ চৌধূরী জানান, বাংলাবান্ধার চেয়ারম্যান পরিবারের তিনজন এবং প্রতিবেশী একটি মহিলা চা খাওয়ার পর অতিরিক্ত ঘুমের কথা শুনেছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর জানা যাবে আসলে কি ঘটেছিল। খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনাও হতে পারে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: