বিদ্যালয়ে সাপের উপদ্রব, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১০:৫৮ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপের উপদ্রব যেনো কমছেই না। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে স্কুল থেকে সাপুড়ের মাধ্যমে বড় বড় দুটি গোখরা সাপ ধরা হয়। এ নিয়ে আতঙ্কে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার বড়াইল হোসাইনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন ও আধা পাকা ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর স্কুল থেকে গোখরা ও কালি দাঁড়াশ সাপের ১৬টি বাচ্চা মারা হয়েছিলো। গত কিছু দিন ধরে আবারও স্কুলে সাপের উপদ্রপ বেড়েছে। আজ সকালে সাপুড়ের মাধ্যমে স্কুল থেকে বড় বড় দুটি গোখরা সাপ ধরা হয়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন বলেন, অনেকদিন ধরেই স্কুলে এই সাপের উপদ্রব; তবে কয়েকদিন ধরে একটু বেশি বেড়ে গেছে। তখন প্রধান শিক্ষককে বলে ছিলাম, স্যার আমরা কেমন করে স্কুলে ক্লাস নিবো। পরে স্যার সাপুড়ের সাথে যোগাযোগ করে তাদের এনে আজ সকালে স্কুল থেকে দুটি বড় বড় গোখরা সাপ ধরে। একটি সাপ স্কুলের বাথরুম থেকে ও আরেকটি সাপ বাথরুমের পিছন থেকে ধরা হয়। তিনি আরো বলেন, ছোট ছোট সাপের বাচ্ছা গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে গেছে বলে সাপুড়ে বলেছে। এই সাপের উপদ্রবে আমরা সকলে আতঙ্কিত।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, অনেক দিন ধরেই এই স্কুলে সাপের উপদ্রব। তবে গত কিছু দিন ধরে এটা আরো বেড়ে গেছে। সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহ খানেক ধরে ওঝার সাথে যোগাযোগ করা হয়। আজ সাকালে সাপুড়ে স্কুলে এসে বড় বড় দুটি গোখরা সাপ ধরে।

তিনি আরো বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বাচ্চা ঢুকে পড়ছে। পড়ে গোখরা ও কালি দাঁড়াশ সাপের ১৬টি বাচ্চা মারা হয়েছিলো। গত চার বছর আগেও স্কুল থেকে বড় একটি সাপ মারা হয়েছিলো।

তিনি আরো বলেন, সাপ মারার কার্বলিক অ্যাসিড স্কুলের সব খানে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের ভিতরে আর কোন সাপ বা সাপের বাচ্চা নেই বলে সাপুড়ে নিশ্চিত করেছে। স্কুলের পাশে জমি থাকায় সব সময় এই সাপের উপদ্রব লেগে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত সাপ কাউকে কামড় দেয়নি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: