৫ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪৬ পিএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ৫ দিনপর ফেরত দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বলদিয়া সীমান্তের ৮১ মেন পিলারের জিরো লাইনের কাছে পতাকা বৈঠক শেষে বিজিবির কাছে ওই যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মাহবুবুর রহমান, দর্শনা থানার পরিদর্শক নিখিল চন্দ্র অধিকারী, ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি বাবিন মুখার্জী, বিএসএফের পক্ষে ৫৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানী কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্টরা।

গত ৮ অক্টোবর শনিবার দিনগত রাতে ভারতে মহিষ আনতে গেলে ছোট বলদিয়া সীমান্তের ৮২ নম্বর মেন পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ৩২ বছর বয়সী মুনতাজ হোসেন। পরদিন রোববার সকাল ১০ টার দিকে তার মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। পরে কৃষ্ণগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে তারা। নিহত মুনতাজ হোসেন ছোট বলদিয়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের মেজ ভাই ইন্তাজুল আলী বলেন, আমার বড় ভাই গরু-মহিষের ব্যবসা করেন। রাতে সীমান্তে মহিষ আনতে যান তিনি। শনিবার রাত ১টার দিকে সীমান্তের ৮২ নম্বর মেন পিলারের বিপরীতে ভারতের ৫৪ বিএসএফ বিজয়পুর ক্যাম্প সদস্যরা ৭-৮ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে মহিষ আনতে যাওয়া মুনতাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি বাবিন মুখার্জী জানান, সেদিন সকালে এক বাংলাদেশি মহিষ ব্যবসায়ীর মরদেহ থানায় হস্তান্তর করে বিএসএফ সদস্যরা। নিহত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে মহিষ নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানায় বিএসএফ। ঘটনার দিন মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ সেখানেই সংরক্ষিত রাখা হয়। আজ মরদেহ আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হলো।

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: