সাভারে ১১ বছরেও হয়নি সাবেক সাংসদের স্ত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১০:০৯ এএম

ঢাকার সাভারে দীর্ঘ ১১ বছরেও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী মোসা. সেলিমা খান মজলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারে নি পুলিশ। তাই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন নিহতের মেয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৪ জুন সাভারের দক্ষিপাড়ার বাসায় নৃশংসভাবে সেলিমা খান মজলিশকে জবাই করার পরেও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এঘটনায় মামলা দায়ের হলেও মামলার নথি চাপা রয়েছে বছরের পর বছর।

তবে নিহতের প্রবাসফেরত দুই মেয়ে পারভীন খান মজলিশ ও ইলোরা খান মজলিশ গত ১০অক্টোবর সোমবার দ্রুত তদন্ত নিষ্পত্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর পর মামলার তদন্তভার ন্যাস্ত হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। এর আগে গত ১১ বছর ফলাফলহীন তদন্ত করেছে পুলিশ, ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই দুই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মিলে ১১ বছরে এক হত্যাকান্ডের কোন ধরনের ক্লু খুঁজে বের করতে পারেন নি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, সেলিমা খান মজলিশকে গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় বাসার ভেতরে পড়ে ছিলেন। এসময় গৃহকর্মী সরলাম স্বামী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি কি কারনে উপস্থিত ছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তর না মিললেও নিহতের স্বজনের বেশ কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে ইলোরা খান মজলিশ বলেন, মামলা দায়েরের ১১ বছর অতিবাহিত হলেও এর কোন অগ্রগতি আমরা দেখতে পাই নি। এত দিনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিছুই শনাক্ত করতে পারে নি। আমরা হতাশ হয়েছি, আর হতাশ হয়েই প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছি। আমরা চাই হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, রক্তমাখা গ্লাসের ফরেনসিক পরিক্ষা, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরিক্ষা। এছাড়া আশেপাশের মানুষের জবানবন্দি গ্রহণসহ বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে হত্যার রহস্য উদঘাটন হোক।

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের সাব-ইন্সপেক্টর সালেহ ইমরান বলেছেন, মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে নতুন করে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সেলিমা খানমজলিশ খুনের পর তার ছোটভাই মো. শাফিউর রহমান খান শাফি বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিমা খান মজলিশ ২০১১ সালে মারা যান। পরে তাকে সাভার পৌর এলাকার আনন্দপুর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: