যুদ্ধ থামান, খাদ্য নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করুন: শেখ হাসিনা

বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুদ্ধ ও খাবার নিয়ে রাজনীতি বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের গ্রহে খাদ্যের কোনো অভাব নেই। অভাব কেবলই মনুষ্য-সৃষ্ট। বিশ্বের কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না যদি অস্ত্রে বিনিয়োগ করা অর্থের সামান্য অংশ খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণে ব্যয় করা হয়। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দফতরে আয়োজিত 'বিশ্ব খাদ্য সম্মেলন-২০২২'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইতালির রোমে এফএওর সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে, আমাদের গ্রহে খাদ্যের কোনো অভাব নেই। অভাব কেবল মনুষ্যসৃষ্ট। খাদ্য নিয়ে রাজনীতি ও ব্যবসায়িক স্বার্থ, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং কীটপতঙ্গ ও রোগের আক্রমণ—এসব কিছু আমাদের কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, অস্ত্র উৎপাদনে যে অর্থ বিনিয়োগ করা হয় তার সামান্য অংশও যদি খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণে ব্যয় করা হয়, তাহলে এই পৃথিবীতে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ- যুদ্ধ বন্ধ করুন, খাদ্য নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করুন, খাদ্যের অপচয় রোধ করুন। পরিবর্তে, খাদ্য ঘাটতি এবং দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকায় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করুন। মানুষ হিসেবে আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে প্রত্যেকেরই খাদ্যের ওপর বেঁচে থাকার এবং ভালো জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে।

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব কামনা করে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উদ্ধৃত করে বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তুলি যা দারিদ্র্য, ক্ষুধা, যুদ্ধ ও মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে পারে এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।