খুলনায় বাস-লঞ্চের পর খেয়াঘাটও বন্ধ
বাস ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধের পর এবার খুলনা নগরে প্রবেশের প্রধান দুই খেয়াঘাটও বন্ধ করা হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিএনপির গণসমাবেশে আসতে ইচ্ছুক নেতা-কর্মীসহ সাধারণ যাত্রীদের।গতকাল শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য রূপসা ও জেলাখানা ঘাট বন্ধের ঘোষণা দেন নৌকা মাঝি সমিতির নেতারা। তবে নেতারা বলছেন, যাত্রীপ্রতি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট করছেন তারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আর এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই প্রধান দুই খেয়াঘাট বন্ধ রয়েছে। রূপসা, তেরখাদাসহ আশপাশের জেলা-উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই দুটি ঘাট দিয়ে খুলনা নগরে প্রবেশ করেন। রাতে ঘাট বন্ধ করে দেয়ায় দুই পাশে অসংক্য মানুষ আটকা পড়েন। পরে তাদের দীর্ঘ পথ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হুলএ বিষয়ে পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিনচালিত নৌকা মাঝি সংঘের সভাপতি মো. রেজা ব্যাপারী জানান, একদিকে জ্বালানি তেল অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। অথচ রূপসা ঘাটের ট্রলারভাড়া বাড়েনি। তাই যাত্রী প্রতি এক টাকা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ২৪ ঘণ্টার জন্য ঘাট পারাপার বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, পরিবহন ধর্মঘট ডেকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও নৌপথের সব বাহন বন্ধ করে দিলেও শনিবারের খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে।এছাড়া খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে এসে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী রূপসায় অবস্থান করছেন। তারা যাতে নগরীতে প্রবেশ করতে না পারেন, সেজন্য ঘাট দুটি বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই গণসমাবেশ ঠেকানো যাবে না। যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে। বিনা কারণে সাধারণ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়।বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক এহতেশামুল হক জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীরা দূর-দূরান্ত থেকে খুলনায় প্রবেশ করেছেন। তারা পায়ে হেঁটে আসার পাশাপাশি বিভিন্ন বাহনে করে খুলনায় এসেছেন। অনেকে বাধার মুখে পড়েছেন। অনেককে আটক করা হয়েছে। বাস, লঞ্চ, খেয়াঘাট বন্ধ রেখে নেতাকর্মীদের স্রোত ঠেকানো যাবে না। যত বাধা আসুক না কেনো সমাবেশ সফল হবে।
উল্লেখ্য, খুলনায় আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির গণসমাবেশ। রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন সমাবেশ ঘিরে পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে নেয়ার চেষ্টা চলছে। তেমনটি হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, গণপরিবহন বন্ধ ও গ্রেপ্তারেও ঠেকানো যাবে না খুলনার সমাবেশ।চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের পর শনিবার খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশ সফল করতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এরইমধ্যে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের নেতৃত্বে হয় শোডাউন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: