নানা আয়োজনে বাঁধন বশেমুরবিপ্রবি ইউনিটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১১:২৪ পিএম

“৫০ পেরিয়ে বাংলাদেশ, ২৫ এ বাঁধন স্বেচ্ছায় রক্তদান হোক সামাজিক আন্দোলন” রজতজয়ন্তীর এই স্লোগানকে সামনে রেখে নানা আয়োজনে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন এর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (রজতজয়ন্তী) পালন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে থেকে আনন্দ র‌্যালী বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বর হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে শেষ হয়। এরপর কেক কেঁটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয় এবং আলোচনা সভার মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রাজিউর রহমান ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ফায়েকুজ্জামান টিটো, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেম রেজা। এছাড়াও বাঁধন বশেমুরবিপ্রবি ইউনিটের সাবেক-বর্তমান নেতৃবৃন্দ ও কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রাজিউর রহমান বলেন, ‘বাঁধন আসলে মানুষকে বেঁধে রেখেছে ওটুট বন্ধনে। শুধু রক্তদানের মাঝেই বাঁধন সীমাবদ্ধ নয়, রক্ত দানের পাশাপাশি দুস্থ মানুষের সেবা করা যাচ্ছে এই সংগঠন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঁধনের সাথে যারা যুক্ত আছেন তাদের প্রতি আমার বিশেষ শুভ কামনা।’

একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ফায়েকুজ্জামান টিটো বলেন, ‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন এই স্লোগানকে সামনে রেখে দীর্ঘ সময়ে এই সংগঠনের কার্যক্রমের পরিধি বেড়েছে। রক্তদানের মধ্য দিয়ে শরীরের নিজের একটা অংশ দেওয়া যায় যার মাধ্যমে আলাদা একটা শান্তি পাওয়া যায়। বাঁধনের সাথে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা যুক্ত আছেন তাদের প্রতি আমার শুভ কামনা।’

লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেম রেজা বলেন ‘বাঁধনের ২৫ বছর পূর্তিতে সংশ্লিষ্ট সকল নিবেদিতপ্রাণ রক্তযোদ্ধাদেরকে জানাই প্রানঢালা অভিনন্দন, যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাধন সফলতার সাথে দীর্ঘ ২৪ টি বছর অতিক্রম করলো। আমিও নিজে ব্যক্তিগত ভাবে বাঁধনের সাথে জড়িত ছিলাম এবং রক্তদান সম্পর্কে প্রথম ধারনা পাই বাঁধন থেকেই। বাঁধনের সুবাদে আমি আমার জীবনে প্রথমবারের মত রক্ত দেই ২০১২ সালে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে এবং পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে ১২ জন মানুষকে রক্তদান করার সুযোগ হয়। যার কৃতিত্ব অনেকটাই বাঁধনের মাধ্যমে সৃষ্ট সচেতনতা।’

বাঁধন বশেমুরবিপ্রবি ইউনিটের সভাপতি রাতুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করব রক্তের অভাবে যেন কোন মানুষ আর না মারা যায়। এছাড়াও আমাদের সকলেরই রক্তের গ্রুপ জানা এবং নিজ আগ্রহে রক্তদান করা উচিত।

উল্লেখ্য, স্বেচ্ছায় রক্তদানের সংগঠন ‘বাঁধন’ ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে প্রতিষ্ঠিত হয়। বশেমুরবিপ্রবিতে ২৯ মার্চ ২০১৫ সালে বাঁধনের যাত্রা শুরু হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: