স্যুটকেসে জীবিত কুমির নিয়ে বিদেশ যাত্রা!

সাধারণত বিদেশে ভ্রমণের সময় আমরা সুটকেস ভর্তি করে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাই। অনেক সময় অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ভরে ফেলি। তবে এবার এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে। আস্ত এক জীবিত কুমির সুটকেসে ভরে বিদেশে যাত্রার চেষ্টা করেছেন এক ব্যাক্তি। গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
সম্প্রতি একাধিক ব্রিটিশ গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ৪২ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের গত মাসে মিউনিখ বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল। বিমানবন্দরে তল্লাশির সময় তার স্যুটকেস এক্স-রে স্ক্যানারে নেয়া হলে সেখানে অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান নিরাপত্তাকর্মীরা। পরে স্যুটকেস খুললে জীবিত কুমির পাওয়া যায়। সম্প্রতি এ ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপর গণমাধ্যমে উঠে আসে তা। সোশ্যালে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, কুমরটি কুণ্ডলী পাকিয়ে রাখা হয়েছে স্যুটকেসে। সারা গায়ে কাগজে জড়ানো। মুখ টেপ দিয়ে বাঁধা এবং নাকের অংশ অনাবৃত। ত্বক ধবধবে সাদা। আর জিনগত সমস্যার কারণেই গায়ের রং এমন।
বিমানবন্দরের কাস্টমস গণমাধ্যমে জানায়, এই কুমিরের শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। তবে চিকিৎসা করার পর আগের থেকে ভালো আছে।স্যুটকেস থেকে কুমির উদ্ধারের পর যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিকের মুঠোফোন জব্দ করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। কেননা, জার্মানির বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিক কুমির নিতে গিয়ে অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে করা সেই মামলা তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে মাত্র ১০০-২০০ এর মতো সাদা রংয়ের কুমির রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিক কুমিরটি বিক্রির জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে যাচ্ছিলেন। সিঙ্গাপুরে অবৈধভাবে বিরল প্রাণী ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা রয়েছে। দেশটিতে বেশ উচ্চ দামে বিক্রি হয়ে থাকে এসব প্রাণী।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: