মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করলো আদালত

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ১১:১৮ পিএম

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা করার কারণে বাদীকে কারাদন্ড দিয়েছেন খাগড়াছড়ির চীফ জুডিসিয়াল আদালত। একইসঙ্গে মামলার আসামিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অর্থদণ্ড ও দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩১ অক্টোবর) খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসেন চৌধুরী এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১৪৩/ ৪৪৮/ ৪২৭/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩৫৪/ ৩৭৯/ ৩৮০/ ৫০৬(২) ধারায় অভিযোগ এনে খাগড়াছড়ির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিগত ১৭/০৮/২০২০ তারিখে মামলা করেন দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউপির বেতছড়ি এলাকার সামছুল হকের স্ত্রী কহিনুর বেগম। ফৌজদারি মামলাটি বিচারকালীন পেনাল কোডের ১৪৩/ ৪২৭/ ৩২৩/ ৫০৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হলেও বিচার শেষে আদালতের কাছে বাদীর অভিযোগ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে প্রমাণিত হয়।

ফলে আদালত আসামিদেরকে মামলা হতে খালাস দিয়ে বাদীকে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(৫) ধারার বিধান মতে ৩ (তিন) দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও একই সাথে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারার বিধান মতে মামলার ৭জন আসামির প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ক্ষতিপূরণ (জরিমানা)’র অর্থ অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- মো. রেজাউল মাষ্টার (৪৫), আনারুল ইসলাম (৩০) নুর মোহাম্মদ (৪০), মো. হরমুজ আলী (৪৫) মো. আলম (৩৫), আমিন আলী (২২), ইব্রাহীম, সর্ব সাং- বেতছড়ি, মেরুং ইউপি, দীঘিনালা উপজেলা।

রায় ঘোষণাকালে বাদি কহিনুর বেগম এবং সাত জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাদীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং আসামিপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট শেখ মো. জামাল হোসেন সিদ্দিকী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট শেখ মো. জামাল হোসেন সিদ্দিকী বলেন, এমন রায় খাগড়াছড়িতে প্রথম। এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে কেউ কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার সাহস করবেনা বলে জানান তিনি।

আদালত রায় পর্যালোচনায় বলেন, অভিযোগকারী কহিনুর বেগম ইচ্ছাকৃতভাবে আসামিদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে মামলা করায় দৃষ্টান্ত হিসেবে এ সাজা দেওয়া হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: