ঢাবির হলে শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ১২:০৮ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের রাসেল মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ওই হলটির এক ছাত্রলীগের কর্মীর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলটির যমুনা ব্লকের ১১০০১ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মোনাফ প্রান্ত, ইতিহাস বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। প্রান্ত বুজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের কার্য-নির্বাহী সদস্য এবং হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের অনুসারী।

অন্যদিকে ভুক্তভোগী রাসেল মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একই শিক্ষা বর্ষ ও সেশনের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। মাহমুদ জানায়, ভুক্তভোগী জানায়, আমাদের রুম শিফট হওয়ার কথা ছিল। এজন্য আমি রুমে আসি এবং এসে দেখি প্রান্ত আমার রুমে এসে শুয়ে আছে। আর আমার ল্যাপটপসহ সমস্ত জিনিসপত্র বাইরে বের করে রাখছে। তখন আমি বলি, আমার জিনিসপত্র তো বাইরে বের করলি। এটলিস্ট আমাকে তো জানাতে পারতি। তখন প্রান্ত এগ্রেসিভলি বলতেছে তোরা বিষয়টা জানিস না? এবং আমাকে আমার মা তুলে বাজেভাবে গালি দেয় এবং বলে রুম থেকে এখনই বের হ।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, তখন আমি বলি, আমার সাথে এরকম আচরণ করছিস কেন? আমি কী তোর জুনিয়র হই? সেসময় আমার আরেক বন্ধু আসে। তাকেও মা নিয়ে গালিগালাজ করে বলে তাড়াতাড়ি সবাই রুম থেকে বের হ। নাইলে খবর আছে। তখন আমি বলি, খবর আছে এসব বলার মানে কী? তখন একপর্যায়ে প্রান্ত রড নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করছে। আমার পিঠে মারাত্মকভাবে জখম দাগ রয়েছে। হাত দিয়ে ফিরানো সময় হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই। পরে বন্ধুরা এসে আমাকে রক্ষা করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে।

শিক্ষার্থীদের একটি সূত্র বলছে, অভিযুক্ত প্রান্ত হরহামেশাই বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া করে। বেশ উগ্র মেজাজের বলেও অভিযোগ রয়েছে। জুনিয়রদেরও মারধরসহ গভীর রাতে জুনিয়রদের রুমে গিয়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে গালাগালি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাসেলকে মারধরের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী মোনাফ প্রান্ত বলেন, এরকম কোন কিছুই হয়নি। রাসেল আমার বন্ধু হয়। রুম নিয়ে জাস্ট একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। পরে সিনিয়র ভাইরা এসে সমাধান করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস বলেন, ঘটনাটি দুজনের ব্যক্তিগত বিষয়। তবুও বিষয়টি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব। এদিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল বাছিরকে বলেন, কেও এখনও তার কাছে অভিযোগ করেন নি এ বিষয়ে। লিখিত অভিযোগ পেলে পূর্বের মত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: