পটুয়াখালীতে ঔষধ প্রতিনিধির মুক্তির দাবিতে ঔষধ সরবরাহ বন্ধ ঘোষনা

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৫৬ পিএম

পটুয়াখালী মডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে রোগীদের হয়রানী করার অভিযোগে ১১ ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধিকে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল কাইয়ুম এ অভিযান পরিচালনা করেন। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন স্তর ও সুশিল সমাজ। এদিকে দন্ডিত হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে ঔষধ সরবরাহ বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন পটুয়াখালী ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টিভ এ্যাসোসিয়েশন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-এস কে এফ ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানীর পটুয়াখালী মেডিকেল বেইজ এর এরিয়া ম্যানেজার মো. আজিজুল হক সোহাগ(৪৮), বিকন ফার্মাসিটিক্যাল‘র এরিয়া ম্যানেজার আলমগীর হোসন(৪৫) সার্ভেম্যান রবিউল ইসলাম(৩৩),বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল‘র এরিয়ার ম্যানেজার রঞ্জন দাস(৩৯) ক্যামিষ্ট ফার্মাসিটিক্যাল‘র এরিয়া ম্যানেজার মিজানুর রহমান(৩৭)ও রবিউল ইসলাম(৪০) এবং কিরন মোল্লা(৩৯), রনটা ফার্মাসিটিক্যাল‘র বিক্রয় প্রতিনিধি ফেরদৌস আলী(৪৫), রডিয়াট ফার্মাসিটিক্যাল গ্রুপের আব্দুর জবার(৩৫)।

উল্লেখিত এই ৯ জনকে সাত দিনের কারাদন্ড ও ৫শ শত টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও ইউনিমট হেল্থ জালিস মাহামুদ বিকন ফার্মার এনামুল হককে এক হাজার কর জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানায় দন্ডিত হওয়া দুই ব্যাক্তির সহকর্মীরা বলেন-জালিস মাহামুদ ও এনামুল হক নির্দোষ। তারা করোনা টিকা দিতে আজ হাসপাতালে এসে দন্ডিত হয়েছেন।

এদিকে জেল-জরিমানার ঘটনায় পটুয়াখালী ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টিভ এ্যাসোসিয়েশন ঔষধ সরবরাহ এবং চিকিৎসকদের ভিজিট বন্ধ ঘোষনা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টিভ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রকিবুল হাসান বলেন-বিনা অপরাধে ৮ নভম্বর দুপুরে পটুয়াখালী মডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে অবস্থানরত ১১ ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের জেল-জরিমানা করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন, যা একেবার অহেতুক। তাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত ঔষধ সরবরাহ এবং চিকিৎসকের ভিজিট বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। সুষ্ঠু সমাধান না হলে আগামীকাল বুধবার ৯ নভেম্বর আমরা মানবন্ধন ও বিক্ষাভ কমসূচী পালন করবো।

অপরদিকে পটুয়াখালী মডিকেল কলেজ হাসপাতালে কতৃপক্ষের দাবি সেবা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে জোর করে ব্যবস্থাপত্র ছিনিয়ে নেয় ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। ছিনিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তারা নারী-পুরুষ মানছেনা। যা নিয়ে রোগী ও ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির সঙ্গে বাকবিতন্ডা লেগেই থাকে। তাছারা এসকল প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের অন্যায় ভাবে ব্যবস্থাপত্র লিখতে প্রভাবিত করেন। ফলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্থ। তাই তাদের দৌড়াত্ব রুখতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: