ব্যয় কমতে পারে ইভিএম প্রকল্পের

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ০৫:২১ পিএম

নির্বাচন কমিশনেরে (ইসি) প্রস্তাবিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের ওপর সুপারিশ অনুযায়ী নতুন করে ডিপিপি দেওয়ার জন্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে থেকে। ফেরত পাঠানো ডিপিপি পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশের আলোকে রোববার নতুন করে পাঠাবে। এক্ষেত্রে ইভিএমের ব্যয় কিছুটা কমতে পারে।

ইসি সূত্রগুলো এমন তথ্য জানিয়েছে। অক্টোবরের মাঝামাঝিতে 'নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল ইসি। ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখের প্রস্তাবিত ওই প্রকল্পটির ওপর পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা কমিশন মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ দিয়ে ইসিতে পাঠিয়েছে।

জানা যায়, পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) একটি বৈঠক করে প্রস্তাবে কিছু সংশোধনী এনে রোববার ফের পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। এখানে পরিবহন ব্যয়সহ আরও বেশকিছু-খাতে কিছুটা সংশোধনী আসতে পারে।

ইভিএমের প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার(ইসি) রাশেদা সুলতানা বিডি২৪লাইভকে বলেন, 'আমি যতটুকু শুনেছি ওটাতো গিয়েছিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ওখান থেকে আবার আমাদের কিছু গাইডলাইন দিয়ে ওটা ফেরত পাঠানো হয়েছে। মানে বাতিলও হয় নাই আবার মঞ্জুরও হয় নাই কিন্তু গাইড লাইন একটা দেওয়া হয়েছে। তাতে আমি যতটুকু বুঝেছি যে ব্যয়টা একটু মাত্রার মধ্যে এনে দিতে বলেছে এবং কোথায় কোথায় ব্যয়টা একটু সংকোচ হবে সেটার এটার একটা গাইড লাইন দিয়েছেন কিন্তু আমি দেখি নাই। যেটা আমি শুনেছি আর কি। যেহেতু ওই কাজটা আমি করি না। আমি যে টুকু গণমাধ্যমে দেখলাম আর যে টুকু শুনলাম। '

তিনি বলেন, 'যেহেতু ওনারা গাইড লাইন দিয়েছেন সেই গাইড লাইনের মধ্যে ফেরত পাঠানো যায় আশা করি পাশ হয়ে আসবে এটা আমার মনে হয়েছে পড়ে যেটুকু গণমাধ্যমে দেখেছি।'

ইভিএম প্রজেক্ট পাশে যদি সময়ক্ষেপণ হয় তাহলে কি কোনো সংশয় থাকে কি না?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,' আমার মনে হয় সময়ক্ষেপণ হবে না। যেহেতু ওনারা গাইড লাইন দিয়েছেন আমাদের দপ্তরে যখন এসে গেছে আমরা তো দেরি করবো না। আবার আমরা যখন এটা পাঠাবো ওনারা গুরুত্ব দিয়ে করবেন।কারণ এটা নির্বাচনের সাথে জড়িত একটা বিষয়। নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে তাহলে ওটা দিয়ে লাভটা কি।'

জানুয়ারি আগে প্রকল্পটা পাশ হবে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন,'যেহেতু আমাদের প্রকল্প পরিচালক রাকিব সাহেব এটা নিয়ে আশাবাদী তাহলে এটা নিয়ে আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নাই।'

কোন মাসের মধ্যে এটা পেতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,'আমার মনে হচ্ছে ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি মধ্যে আসলে হয়তো ওটা করা সম্ভব।'

ইভিএম প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, 'যেহেতু আমাদের ফিজিবিলিটি স্টাডি হয় নাই। আগামীকাল একটা মিটিং রয়েছে৷ ফিজিবিলিটির বিকল্প কি করতে হবে সেটা বলে দিয়েছে। একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে।সেই কমিটিতে বুয়েটের শিক্ষকরা রয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রয়েছেন। এ বিষয়ে কালকের মিটিং এ ওনাদের স্বাক্ষরযুক্ত লাগবে। কারিগরি কমিটির সব সদস্যের স্বাক্ষরসহ প্রকল্প প্রস্তাবটি নতুন করে পাঠানো হবে।

ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল রাকিবুল হাসান বলেন,' টেকনিক্যাল কমিটির ফিজিবিলিটি টেস্ট। ফিজিবিলিটি টেস্ট আমরা করি নাই। ব্যয় সংকোচন বলতে যা বুঝায় সে ধরণের কিছু বলে নাই। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো আমরা একটু বেশি ধরে রাখছি কেন ধরে রাখছি সেটা আমাদের জানা ছিল না। গাড়ির সংরক্ষণ ব্যয় কমানো। আমরাও দেখছি দে আর ভেরি লজিকাল।'

মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ওয়ার্কঅডার পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সবকিছু তো নিয়ম অনুযায়ী চলছে। ভালোভাবে হচ্ছে। আমাদের তো কেউ বলে নাই এই প্রকল্প হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয় বা প্ল্যানিং থেকে বলে নাই শর্টকামিং আছে কোনো।'

জানুয়ারির মধ্যেই প্রকল্প পাশ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন,' অবশ্যই দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহারে আশাবাদী।'

এর আগে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা সচিব মো. মামুন-আল-রশীদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “ইভিএম প্রকল্পটি নিয়ে আমাদের কিছু অবজারভেশন আছে। সে অবজারভেশনসহ আমরা সুপারিশ করেছি। সে সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে উনারা নতুন ডিডিপি করে পাঠাবেন। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা পরে হবে।”

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: