দেড় যুগ পর পঞ্চগড় জেলা যুবদলের সম্মেলন

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৪৪ পিএম

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে জন্ম নেয়া আওয়ামী লীগের নাম ছিলো পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগ। তার কিছুদিন পরে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে তারা গঠন করলো পাকিস্তান আওয়ামীলীগ। এই দেশে এই আওয়ামীলীগের জন্ম হয়নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শিলিগুড়িতে বসে তারা দলের নাম দিলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। শেখ মুজিব ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগ বাদ দিয়ে দলের নাম হলো বাকশাল।

এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে দলের জন্য জিয়াউর রহমানের কাছে আবেদন করেন। জিয়াউর রহমান অনুমোদন দেন। কাজেই নিরপেক্ষভাবে বললে বলা যায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। বৃহস্পতিবার দুপরে সদর উপজেলার হিলিপ্যাড এলাকায় পঞ্চগড়ে জেলা যুবদলের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন শেখ হাসিনার দুই পুত্র কন্যা বাংলাদেশ কে রিসোর্ট বানিয়েছে। শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দুজনেই বাইরে বিয়ে করেছেন। তারা বাংলাদেশে আসেন ফুর্তি করতে। বাংলাদেশ তাদের জন্য রিসোর্ট । তারা বাংলাদেশে আসেনা । কালে ভদ্রে আসে। সম্পুর্ন সরকারি টাকা খরচ করে নিরাপত্তা নেয়। ফটোসেসন করে আবার দেশের বাইরে চলে যায়। কিন্তু বিএনপির শেকর হচ্ছে এই দেশের মাটিতে।

আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নালিশ পার্টি। অবশ্যই আমরা নালিশ পার্টি। আমরা জনগণের কাছে নালিশ করি। সর্বপ্রথম মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিনকে মুচলেকা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশের বাইরে চলে যায়। স্বদেশ প্রত্যবর্তনের ইতিহাস আওয়ামীলীগের আছে। বিএনপির নেই। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আওয়ামীলীগ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করছে। আওয়ামীলীগ লুকোচুরি খেলা শুরু করেছেন। শেখ হাসিনা গণভবনে বিরোধীদল কে একবার চায়ের দাওয়াত দেন আবার খালেদা জিয়াকে জেলখানায় পাঠাতে চান।

এর আগে সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হ্যালিপ্যাড এলাকায় একটি হাসকিং মিল চত্বরে আয়োজিত যুবদলের এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু,সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ন আহ্বায়ক মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, রংপুর বিভাগীয় যুবদলের টিম লিডার ও সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রুহুল আমীন আকিল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুরুজ্জামান বাবু।

এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলা শহরে সাজ সাজ রব। ব্যানার ফেস্টুন তোরন দিয়ে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে খন্ড খন্ড মিছিলি নিয়ে সদর উপজেলার হিলিপ্যাড এলাকায় জড়ো হতে থাকে নেতা কর্মীরা। দুপুর পর্যন্ত প্রায় হাজারো নেতা কর্মী জড়ো হয় সেখানে।

এদিকে বিকেলে পঞ্চগড় জেলা শহরের উপকন্ঠে পঞ্চগড় কমিউনিটি সেন্টারে কাউন্সিলরদের নিয়ে দ্বিতীয় অধীবেশন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা থানা পৌরসভা এবং ইউনিয়ন থেকে দুই শত চল্লিশ জন কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলা যুবদলের সভাপতি সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। সভাপতি পদে দুইজন ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল ও শরিফুর ইসলাম পারভেজ এবং সাধারন সপাদক পদে নুরুজ্জামান বাবু, শাহিনুর ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক হারুর অর রশিদ সহ চারজনের নাম শোনা যাচ্ছে। ২০০৪ সালের পর দেড় যুগ পার হলেও এই জেলায় যুবদলের সম্মেলন হয়নি।

আজ সম্মেলন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত অথবা কাউন্সিলররাই নির্ধারন করবেন তাদের নেতা এমনটা জানিয়েছেন নেতা কর্মীরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: