তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চার ইউপি সদস্যকে পেটালেন চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫৬ পিএম

রাসায়নিক সার বাইরে বিক্রির প্রতিবাদ করায় ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় ভাড়াটে লোক দিয়ে চার ইউপি সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বনি আমিনের বিরুদ্ধে। আজ বৃস্প্রতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। তবে চার ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান।

চার ইউপি সদস্যের বরাতে জানা যায়, কয়েকদিন আগে কৃষকরা রাসায়নিক সার নিতে আসলে চেয়ারম্যান তখন তাদের বলেন এই তোরা বাংলাদেশ না পাকিস্তান (আওয়ামী লীগ- বিএনপি) আওয়ামী লীগ হলে সার দিচ্ছে আর বিএনপি হলে চলে সার না দিয়ে চলে যেতে বলেন।

চেয়ারম্যান তার নেতাকর্মীদের ২০-৩০টা করে সারের বস্তা দিচ্ছে বাইরে বিক্রি করার জন্য। এতে তিনি বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা করে পান। আমরা তখন প্রতিবাদ করি। আজ আমাদের ভিজিডি কার্ড বিতরণের মিটিং ছিলো। আমরা সেই মিটিং এ অংশ নিতে গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান তার কিছু নেতাকর্মী নিয়ে বসে আছেন। এসময় সাদ্দাম, রশিদুল, তুষার, মিন্টু সহ আরো কয়েকজন আমাদের কে বলে এই তোরা এখানে কেন আসছিস? বের হও পরিষদ থেকে। একথা বলতে বলতে তারা চেয়ারম্যান ও সচীবের সামনেই আমাদের মারধর করে বের করে দেয়।

অন্যদিকে গেল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান বনি আমিন তার পছন্দের প্রার্থী মোশারুল ইসলাম সরকারকে ভোট দিতে বলেন। আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থী দেবাশীষ দত্ত সমীরকে ভোট দিলে তিনি আমাদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন ওই টোকাই'র (দেবাশীষ দত্ত সমীর) বাচ্চাকে তোদের কে ভোট দিতে বলেছে। তখন থেকেই তিনি ইউপি সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন।

ইউপি সদস্য হাফিজুল জানায়, জনগণ সার পাইনা,পরিষদে এসে ঘুরে যাচ্ছে আর চেয়ারম্যান তার লোক দিয়ে সকল প্রকাশ রাসায়নিক সার বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই তিনি লোক দিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়। তিনিও যেমন জনপ্রতিনিধি আমরাও জনপ্রতিনিধি। চেয়ারম্যানের সামনেই আমাদের সন্ত্রাসীরা মারলো তিনি একটা কথাও বললো না। আমরা ইউএনও মহোদয় এর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিবো।

৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজহারুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা মেম্বাররা হুমকির মুখে আছি। বাইরের লোক এসে প্রভাব খাটাচ্ছে। চেয়ারম্যান কিছুই বলে না। প্রতিবাদ করলেই তিনি বাইরে থেকে লোক এনে হুমকি দেয়। তিনিও খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে আমাদের। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো? কে আমাদের বিচার করবে?

আরেক ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান বনি আমিন কৃষকদের পাওয়া না রাসায়নিক সার তার লোক দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেয়। আমরা এর প্রতিবাদ করায় আজ সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের মারধর করে পরিষদ থেকে বের করে দেন। আমরা এর বিচার চাই। তবে ভাড়াটে লোক দিয়ে ইউপি সদস্যদের মারধর ও সার বাইরে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। তারা আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে নেমেছে।

এ ব্যাপাররে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান বলেন, চার ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: