টানা ১৮ বছর বিমানবন্দরে বসবাস করেছিলেন নাসেরি

ইরানের সুপরিচিত নির্বাসিত ব্যক্তি মেহরন কারিমি নাসেরি আর নেই। ফ্রান্সের চার্লস দ্য গোল বিমানবন্দরের টার্মিনালে টানা ১৮ বছর বসবাস করেছিলেন নাসেরি। তার মৃত্যুও হলো এই বিমানবন্দরেই। একাধিক ব্রিটিশ গনমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে আবারও ফ্রান্সের এ বিমানবন্দরটিতে বসবাস শুরু করেছিলেন এ ইরানি নাগরিক।
একাধিক ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানায়, চার্লস দ্য গোল বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ এ শনিবার হার্ট অ্যাটাকে মারা যান নাসেরি। এর আগে ১৯৮৮ সালে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য গিয়েছিলেন নাসেরি। কিন্তু তাকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে বিমানবন্দরের টার্মিনালে বসবাস শুরু করেন তিনি। ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা ১৮ বছর টার্মিনালে থাকার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ২০০৬ সালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে নাসেরির জীবনের গল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গ ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন ‘দ্য টার্মিনাল’ নামের বিখ্যাত ছবি। তার চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন টম হ্যাংকস। সেখানে টম হ্যাংকসকে পূর্ব ইউরোপের একজন ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। যিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে আসেন। কিন্তু আশ্রয় না দেওয়ায় জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে বসবাস শুরু করেন তিনি।এছাড়া ১৯৯৩ সালে নাসেরির জীবনের গল্প নিয়ে একটি ফরাসি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ইরানি আলোচিত নির্বাসিত ব্যক্তি নাসেরি ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা ছিলেন স্কটিশ। তা সত্ত্বেও তাকে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি। আশ্রয় প্রত্যাশী নাসেরি বিমানবন্দরে থাকা অবস্থায় বই পড়ে ও লেখালেখি করে সময় পার করতেন। তাকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিনে অসংখ্যবার লেখালেখি হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: