শুকিয়ে যাচ্ছে তিস্তা

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ১০:৫০ এএম

বর্ষা মৌসুম শেষ হতেই বালুচরে পরিণত হয়েছে উত্তরের বড় নদী তিস্তা। এখন খরস্রোত নেই; নেই উত্তাল ঢেউ, জেগে উঠছে একের পর এক বালুচর। প্রতিদিন কমছে পানি। আর এতেই শঙ্কিত কৃষক ও নদী পারের মানুষ।

নভেম্বরেই পানি কমতে শুরু করেছে তিস্তায়। সেচের ভরা মৌসুমে পানি পাওয়া নিয়ে চিন্তিত লাখো কৃষক। তিস্তা নিয়ে অনেক দর কাষাকষি হলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় আর আশ্বাসে থাকতে চায় না সংগ্রাম পরিষদ নেতারা। তবে নদীতে পানি কমলেও সেচে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে এখন পানি পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ১০ হাজার কিউসেক। সেচ প্রকল্পসহ তিস্তা নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে ন্যূনতম পানির প্রয়োজন ২০ হাজার কিউসেক। এর পরেও জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পনি সরবরাহের আশ্বাস সংশ্লিষ্টদের। পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাফাদ দৌলা বলেন, জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান বলেন, তিস্তাকে ইস্যু করে ভারত-বাংলাদেশে দর কষাকষিও হয়। হয় না শুধু তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন। কৃষকের চোখের জলে ভিজে তিস্তার বালু। তাই আর আশ্বাস নয় দুই দাবির রূপরেখা দেখতে চাই আমরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: