ঈশ্বরগঞ্জে ভিজিডির দুইশত কার্ডের ২১ মাসের চাল আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রাজিবপুর ইউনিয়নে ভিজিডি কর্মসুচির দুইশত কার্ডের ২১ মাসের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভোক্তভোগী চার নারী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়, বিগত ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৩১৬ জনের নামে ভিজিডি কার্ড (মাসে ৩০ কেজি চাল) অনুমোদন হয়। তাদের মধ্যে ২০০ ভোক্তভোগী কার্ড না পাওয়ায় চাল পায়নি। পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে খোঁজখবর নিয়ে জানতে তারা পারে ২০০ ভোক্তভোগীর কার্ডের প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল কে বা কাহারা জাল সাক্ষর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকিরকে জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ভোক্তভোগীদের হুমকি দেন।

এবিষয়ে ভোক্তভোগী রোকেয়া বেগম বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমার নামে ভিজিডির কার্ড হয়েছে আমি নিজে জানি না। কিছুদিন আগে কার্ড হওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ২২ মাস যাবৎ আমার সাক্ষর জাল করে চাল কে বা কাহারা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি আমাকে ৩০ কেজির একটি চালের বস্তা দিয়েছেন।

আরেক ভোক্তভোগী মজিতা খাতুন বিডি২৪লাইভকে বলেন, আনুমানিক দুই বছর আগে মেম্বার আমার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ও ছবি নেয়। কিন্তু পরে আমাকে কিছু জানায়নি। সম্প্রতি, ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড করতে গেলে জানতে পারি। আমার নামে ভিজিডি কার্ড আছে। পরে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলেও কোন লাভ হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলী ফকির গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগের কথাটা পরস্পর শুনছি কিন্তু ইউএনও সাহেব কিছু বলে নাই। প্রকল্পটা আগের চেয়াম্যানের আমলের, আমিতো মাত্র কয়েকমাস পেয়েছি। তখনেই হয়তো একজনের কার্ড আরেক জনে নিয়েছে, কিছু কার্ড বেচা কেনা হইছে, কার্ড তো ঠিক আছে অনিয়ম হইছে বিতরণে।

ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাব্বিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার জানামতে আমার সময় কোন অনিয়ম হয়নি। কিভাবে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।

এবিষয়ে ওই ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার প্রানেশ চন্দ্র মিত্র বিডি২৪লাইভকে বলেন, যতগুলি কার্ড আছে ততগুলি চাউল দিয়েছি এবং চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ সচিব স্বাক্ষর করে দিয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন কার্ডের প্রকৃত মালিক কে সেটা চিনি না।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ্জহুরা বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমি অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানিনা। যদি অভিযোগ আসে তাহলে ইউএনও সাহেব আছেন উনি হলেন সভাপতি উনার সাথে পরামর্শ করে তদন্ত পুর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন বিডি২৪লাইভকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মাঝে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: