ভাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০৫:৪০ পিএম

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের ৪০ নং মিয়া পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় চলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলন, পুরাতন টিন বিক্রি, পুরাতন আলমারি বিক্রি এবং বাচ্চাদের নিকট থেকে ২০২১সেশনের বই উত্তোলন করে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন ঐ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা।

এই বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় পুরাতন টিন নেই, উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী ৫ টি আলমারি থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র একটি, কোমলমতী শিশুদের অভিযোগ তাদের নিকট থেকে বই নিয়ে গেছে প্রধান শিক্ষিকা।

এই বিষয়ে ৪০ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শিউলি শারমিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তিনি।

তিনি আরো বলেন, স্কুলের টিন স্কুল কমিটির এক সদস্য নিয়ে গেছেন এটির বাবদ টাকা এখনো তিনি পরিশোধ করেন নাই। আলমারির বিষয়টি তিনি দায়িত্ব গ্রহনের আগে তিনটি আলমারি ছিল তবে তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহন করেন তখন মাত্র ১টি আলমারি পান তবে কখনোই ৫ টি আলমারি ছিল না। বই উত্তোলনের অভিযোগ স্বীকার করে বলেন বাচ্চাদের ভালোর জন্য নতুন বই আসার আগেই পুরাতন বই দেওয়ার উদ্দেশ্যে বই উত্তোলন করেছি, তবে আমি কোন বই বিক্রি করি নাই।

সভাপতির স্বাক্ষর জ্বাল করে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ঠিকাদারদের মতো আগে কাজ করে পরে ভাউচার করে টাকা উত্তোলন করি। নতুন সভাপতির কাগজপত্র রেডি না থাকায় আমি পুরাতন সভাপতির থেকে স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করেছি।

এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা সহকারী প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তিনটি অভিযোগ ভিত্তিতে আমি স্কুলে তদন্ত করতে এসেছি। সরেজমিন দেখলাম, বিদ্যালয় মেরামতের পর পুরতান টিন থাকার কথা ছিল সেটি নেই। আলমারির বিষয়টি তিনি (অভিযুক্ত ভা.প. শিক্ষিকা) আমাকে জানিয়েছেন তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় ১টি আলমারি পেয়েছেন। বই উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আমাদের নির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল বই উত্তোলন করা যাবে না। আমি তাকে এই বিষয়ে লিখিত জবাব দিতে বলেছি। পরবর্তীতে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুন্সী আসলাম বলেন, আমাদের নিকট গতকাল একটি অভিযোগ পেয়েছি স্কুল মেরামতের পর অনেক গুলো টিন ছিল সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী এই টিন গুলো নিলামে বিক্রি করতে হবে এবং নিলামের অর্থগুলো সরকারি কোষাগারে জমা হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ঐ বিদ্যালয় ৫ টি আলমারি থাকার কথা। বাচ্চাদের থেকে বই উত্তোলনের সুযোগ নেই। আমি আমার সহকারী শিক্ষা অফিসার কে সরজমিনে গিয়ে দেখতে বলেছি অভিযোগ গুলো যদি সত্যি হয় তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: