আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে ঢাবি ও চবির বিরুদের ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ১১:৫০ পিএম

আবু হাসনাত তুহিন, পবিপ্রবি থেকে: আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২ এ ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর বিরুদ্ধে। আজ (১৭ নভেম্বর) আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় এ অভিযোগ করেন ম্যাচ সংশ্লিষ্টরা। ম্যাচটির ফলাফল না হওয়ায় এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

প্রথমার্ধে উভয় দলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও কোন দল গোল করতে পারে নি। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ করেও উভয় দলই ছিল গোলশূন্য। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও অতিরিক্ত সময়েও কোন দল গোলের দেখা পায় নি। অবশেষে গোল শূন্য থেকে খেলার সমাপ্তি হলে ম্যাচ রেফারি খেলার ফলাফল নির্ধারণের জন্য টাইব্রেকারে গেলে আপত্তি জানায় ঢাবি ও চবি। তাদের উভয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির কাছে নিজেদের যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার দাবি জানায়।

কিন্তু ফিফা'র কোনো নিয়মে টুর্নামেন্টের ফাইনালে দুই দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার কোনো নিয়ম নেই বলে জানিয়েছেন রেফারি ও আয়োজক কমিটি। রেফারি তাদের বারবার টাইব্রেকারে ফলাফল নির্ধারণ করতে বললেও তারা আর মাঠে আসেন নি । বিভিন্ন সূত্রে সাংবাদিকদের কাছে খবর আসে উভয় দলের অধিনায়করা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাইনালে ড্র করে চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। এছাড়াও উভয় দলের বিপক্ষে ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগ দায়ের করেছেন খেলা পরিচালনা কমিটি । এই অভিযোগের ব্যাপারে ঢাবি ও চবির টিম ম্যানেজার ও কোচের সাথে কথা বললে তারা কোনো যথাযথ উত্তর দিতে ব্যার্থ হয়।

অবশেষে ম্যাচ রেফারিগণ ও খেলা পরিচালনা কমিটি খেলার ফলাফল নির্ধারণের জন্য সন্ধ্যার পর এক জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে খেলার ফলাফল অমীমাংসিত থেকে যায়। এবং অনতিবিলম্বে খেলার ফলাফল জানানোর আশ্বাস দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবু হানিফকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ম্যাচটির ফলাফল বের করার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তবে তারা কোন নিয়ম বা আইনের আওতায় উভয় দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন তা বোধগম্য নয়।

ফলাফল মীমাংসার আগেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রাও অল্প সময়ের মধ্যে পবিপ্রবি ক্যাম্পাস ত্যাগ করে চলে যায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: