মৌলভীবাজারে বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির ধর্মঘটে মানুষের চরম ভোগান্তি

মৌলভীবাজারে পূর্বঘোষিত বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে জেলাজুড়ে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে বলে জানান জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, সিএনজি অটোরিকশার নতুন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ, সিএনজি অটোরিকশার সামনের গ্লাসে গ্রিল লাগানো, ব্যাটারিচালিত অবৈধ টমটম চলাচল বন্ধ, ট্রাক, লরি, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান গাড়ির চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ মৌলভীবাজারে একটি স্থায়ী ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণের দাবিতে জেলাজুড়ে এ ধর্মঘট পালন হচ্ছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার সব রোডে বাস-মিনিবাস ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে সকাল থেকে সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহন জেলাজুড়ে চলতে দেখা গেছে। এসব ছোট যানবাহনে করে সাধারণ মানুষ গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করলেও এতে ভোগান্তি ও ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ।
অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে জেলার বড়লেখা থেকে আসা ৭৫ বছর বয়সী হাসনা বেগম বলেন, বাস বন্ধ থাকায় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ভোরে দুই আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে অসুস্থ বোনকে দেখতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। কিন্তু কুলাউড়া বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে বাস না পেয়ে ট্রেনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্টেশনে অবস্থান করছি।
ঢাকা থেকে বাড়িতে ছুটিতে এসেছিলেন মাহিদুল ইসলাম নামের এক পোশাকশ্রমিক। ঢাকায় ফেরার জন্য গাড়ি না পেয়ে মৌলভীবাজার বাস স্ট্যান্ডে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম। শনিবার কাজে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে অসহায়ের মতো এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি। যেভাবেই হোক আজকের মধ্যেই আমাকে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে।
অন্যদিকে, ধর্মঘট ডাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেন, সরকার নিরীহ বাস মালিকদের নিয়ে ধর্মঘট দিয়ে হাস্যকর ও হঠকারী কাজ করছে। ধর্মঘট দিয়ে কোনো লাভ নেই, সিলেটের গণসমাবেশে দুই লাখেরও বেশি মানুষ হবে।
মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ছালেহ আহমদ বলেন, ধর্মঘট চলাকালে বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা তাদের সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, মূলত শনিবার বিএনপির সিলেটের গণসমাবেশের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। ধর্মঘটের সাথে আমাদের সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ও সড়ক নিরাপদ করতে আমাদের পূর্বঘোষিত ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: