যৌতুক না পাওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ে প্রথম স্ত্রীর মামলায় জেল হাজতে স্বামী

স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পটুয়াখালীর মুরাদিয়া আজিজ আহমেদ ডিগ্রি কলেজর শিক্ষক মো. আল আমিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মো. আশিকুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিপক্ষের আইনজীবী ফেরদৌসী।
তিনি বলেন, আল আমিন স্ত্রীর কাছে দাবি করা যৌতুক না পেয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ কারণে প্রথম স্ত্রী নুরুননাহার তার স্বামীকে প্রধান আসামি করে ২০২১ সালে ৮ আগস্ট পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী জোলেখা বেগমকেও আসামি করা হয়। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তাকে জামিন দেয়া হয়। তবে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ পারিবারিক আদালতে স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ জন্য দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মো. আল-আমিন পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার চরবয়ড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি মুরাদিয়া আজীজ আহমেদ ডিগ্রি কলেজ অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
দুই ছেলেকে নিয়ে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আসেন মামলার বাদি ইশরাত জাহান নুরুনন নাহার। তিনি বলেন, আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করতাম। ২০০৩ সালে আল-আমিনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেন আল-আমীন। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই যৌতুক চেয়ে আমার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত আলামিন। পরে আমার বাবা জমি বিক্রি করে ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তাকে।
এর কিছুদিন পরে পুনরায় ৬ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য মারধর করে ছেলেসহ আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে অনেকদিন ধরে ভরণপোষণ না পেয়ে সন্তানদের নিয়ে আমি অসহায় হয়ে পরি। পরে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ‘লিগ্যাল এইড’ এর সহায়তায় ২০১৯ সালের ৪ জুলাই পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ জন্য মামলা দায়ের করেছি।
তিনি আরও বলেন, মামলায় ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি আমাদের ভরণপোষণসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ আল-আমিনকে ৭ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। এক মাসের মধ্যে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয় আদালত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ না করায় ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে তার দাবি করা যৌতুক না পেয়ে ২০২১ সালে আল-আমিন আরেকটি বিয়ে করেন। এ বিষয়ে মামলা করলে আদালত চত্বর এলাকায় বসেই আমাকে মারধর করেন আল-আমিন। আমার দুই ছেলের কোন খোঁজখবর নেয় না সে। তাদের নিয়ে আমি খুব কষ্টের মধ্যে আছি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: