১ হাজার ফুট পতাকা নিয়ে র‍্যালি, আর্জেন্টিনা জিতলে খাওয়াবেন ১০ ছাগল

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১৬ এএম

এখন শুধুমাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগামীকাল রবিবার (২০ নভেম্বর) কাতারে শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপ নিয়ে ইতিমধ্যে আর্জেন্টাইন ভক্তদের মধ্যে শুরু হয়েছে বাড়তি উন্মাদনা। বিশ্বকাপ উল্লাসে মেতে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা শহরের দাসপাড়ার ‘১৫ মেসি ভক্ত দামুড়হুদা’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। তাদের আয়োজনে এক হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে বর্ণাঢ্য আনান্দ র‌্যালি করেছে ভক্ত-সমর্থকরা।

এছাড়া বিশ্বকাপে প্রিয় ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির দল আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হলে ১০টি ছাগল জবাই করে ভুড়িভোজের আয়োজন করবে সংগঠনটি। গতকাল শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে দামুড়হুদা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ১ হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে জড়ো হয় ‘১৫ মেসি ভক্ত দামুড়হুদা’ সংগঠনের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াসহ আশপাশের এলাকার শত শত আর্জেন্টাইন ভক্তরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বপ্রথম স্টেডিয়ামের চারিদিক আর্জেন্টিনার এই দীর্ঘ পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন ভক্তরা। তারপর সেখান থেকে একটি আনন্দ র্যা লি শুরু করে তারা। র্যা লিটি দামুড়হুদা উপজেলা শহর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। তাদের এই আনান্দ র্যা লি ২২ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা। পরে স্থানীয় যাদু শিল্পী মোহাম্মদ আলী যাদু প্রদর্শন করে ভক্তদের উৎসাহিত করেন।

এসময় সংগঠনটির মুখপাত্র শুভ দাস জানান, আর্জেন্টিনা আমার প্রিয় দল, মেসি আমার প্রিয় খেলোয়াড়। প্রিয় দলকে ভালোবেসে সংগঠনের পক্ষ থেকে এক হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের এই পতাকাটি বানানো হয়েছে। পতাকা ও যাদু প্রদর্শনীতে আমাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আগামী ২২ নভেম্বর আর্জেন্টিনা দলের খেলা। তাদের পছন্দের দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই আনন্দ র্যাজলি ও যাদু প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। ভক্ত-সমর্থকদের উৎসাহিত করতে এই আয়োজন। এবার মেসির বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার সম্ভবনা হয়েছে। তাই এ বিশ্বকাপটি মেসিভক্তদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আর্জেন্টিনা যদি এই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে ১০টি ছাগল জবাই করে ভক্তদের নিয়ে ভুড়িভোজের আয়োজন করা হবে।

তিনি আরো জানান, গত বছর মেসির জন্মদিনে ৩৪ পাউন্ড কেক কাটার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে তা করা হয়নি। আমাদের একটি ফান্ড আছে। সেখানে এলাকার বিত্তবানরা অনুদান দেন। সেই ফান্ডের টাকার সঙ্গে নিজেরা কিছু টাকা মিলিয়ে কিনেছিলাম আটা ও মাস্ক। ৩৫০টি পরিবারের মাঝে প্রতি কেজি ১ টাকায় এই আটা বিতরণ করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: