ভোলায় নির্মাণ হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে ম্যাটস প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ১১:০৭ এএম

ভোলার দৌলতখান উপজেলার খায়ের হাট এলাকায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস)। খায়ের হাট ৩০ শয্যা হাসপাতালের চত্তরে প্রায় ৩ একর জমির উপর একাডেমিক ভবন, ছেলে-মেয়েদের আলাদা হোস্টেল, প্রিন্সিপাল, কনসালটেন্ট ও স্টাফ কোয়ার্টারসহ মোট ৮ টি ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎসংযোগ স্থাপন কাজ চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যেগে চতুর্থ স্বাস্থ্য পুষ্টি জনসংখ্যা সেক্টর প্রগ্রামের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রানা দাস বলেন, প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এখানে ৫তলা ফাউন্ডেশনের ৩ তলা একাডেমিক ভবন রয়েছে একটি, ৫তলা ফাউন্ডেশনের ৪তলা পুরুষ হোস্টেল একটি নির্মিত হয়েছে। ৫তলা ফাউন্ডেশনের ৩ তলা পর্যন্ত মহিলা হোস্টেল হয়েছে একটি। এছাড়া একতলা প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার, কনসালটেন্টদের জন্য ৫তলা কোয়ার্টার, রয়েছে ৩ তলা স্টাফ কোয়ার্টার, ৫ তলা ফাউন্ডেশনের। একইসাথে দ্বোতালা বিশিষ্ট গ্যারেজ কাম ড্রাইভার কোয়ার্টার নির্মাণ হয়েছে ও একটি সাব স্টেশন ভবন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসএসসি পাশ করে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলে ৪ বছর মেয়াদী কোর্সে শিক্ষা গ্রহণের সুজোগ পাবে। সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন শেষে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে শিক্ষার্থীদের। তারা চিকিৎসকদের সহযোগী হিসাবে মূলত: গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করে থাকবেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা: কে এম শফিকুজ্জামান জানান, ২০১৯ সালের মার্চে মেটস’র নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সকল কাজ প্রায় শেষই বলা যায়। শুধু বিদ্যুতের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। আগামী মাসে এটি হস্তান্তর করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে ভোলার স্থায়ী বাসিন্দারা এখানে লেখা-পড়ার সুজোগ পাবে। পরবর্তিতে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন দপ্তরে চিকিৎসকদের সহযোগী হিসাবে কাজের সুজোগ সৃষ্টি হবে। আগামী বছর থেকে প্রতিষ্ঠানটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

স্থানীয় শিক্ষাবিদরা বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট কিছু থাকলেও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে প্রশিক্ষিত সহযোগীর বেশ অভাব লক্ষ্য করা যায়। সে ক্ষেত্রে এটি চালু হলে স্থানীয় যুবক-যুবতীদের এসব ক্লিনিকে চাকরি হবে। একইসাথে জেলার স্বাস্থ্য সহকারী সমর্স্যাও স্থায়ী সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল স্থাপনে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। তারা বলছেন, পল্লী এলাকায় এমন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগে খুশি তারা। খায়ের হাটের পাশের ইউনিয়ন দক্ষিণ জয়নগরের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান ও আবু সাইদ বলেন, মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট হওয়ার জন্য এখন দূরে গিয়ে লেখা-পড়া করতে হবেনা। ঘরের কাছেই তাদের সন্তানরা শিক্ষা গ্রহণের সুজোগ পাচ্ছে। তরুণদের বেকারত্ব দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই প্রতিষ্ঠানটি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: