মুজিব শিল্পনগরসহ ৫০ স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৩৩ হাজার একরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের চারটি কারখানা ও কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ৫০টি শিল্প এবং অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার ২০ নভেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ ভিত্তিপ্রস্তর ও উদ্বোধন করেন তিনি। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৩৩ হাজার একরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের চারটি কারখানার পাশাপাশি, কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোন, সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের দুটি, মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাতটি এবং শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি শিল্প-কারখানার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
সেই সঙ্গে আরও আড়াই’শ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২৯টি কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে কর্মসংস্থান হবে অন্তত ৩৯ হাজার মানুষের। উদ্বোধন করা হয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের সড়ক, ভবন, বিদ্যুকেন্দ্রসহ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর। অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্যদিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
আজ উদ্বোধন হওয়া ‘কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনে’র অধীনে দুটি জেটি নির্মাণকাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জেটিতে আমদানি পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে এবং নিয়মিত চলছে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম। যা চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী জাহাজের জট কমানো তথা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে বহিঃনোঙ্গরে জাহাজের অপেক্ষার সময় হ্রাস পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। এ ড্রাইডকটি লম্বায় ২৮৫মিটার এবং প্রস্থে ৫৬মিটার। ডকে এক লাখ টন ওজনের জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত করা সম্ভব। এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি ড্রাইডকের নির্মাণকাজও চলছে।
চট্টগ্রাম ছাড়াও প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন একযোগে আরও ছয়টি ভেন্যু থেকে অনুষ্ঠিত হয়। ভেন্যুগুলো হলো- গণভবন, ঢাকা, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল (শ্রীহট্ট, মৌলভীবাজার), মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল (সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ), জামালপুর অর্থনতিক অঞ্চল (জামাপুর সদর), সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক (সাবরাং, কক্সবাজার) ও হোসেন্দি অর্থনৈতিক অঞ্চল (গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ)।
শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পশ্চাৎপদ ও অনুন্নত অঞ্চলসহ বাংলাদেশের সকল সম্ভাব্য এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বেজা’র। পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন করেছে। যার মধ্যে ২৮টি বর্তমানে উন্নয়নাধীন রয়েছে। এখন পর্যন্ত, ১২টি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনার লাইসেন্স পেয়েছে এবং এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিতে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এটি বার্ষিক ৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানি করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ট্যাক্স হলিডে, এবং কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধা পেতে পারেন। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো জাপান, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: