নবাবগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৩৪ পিএম

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আমীর হোসেন উজ্জল (৪৫) নামে এক সৌদি প্রবাসীকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছে স্থানীয় বখাটেরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার মধ্য খাহ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উজ্জলের বোনের জামাই বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগনেতা আব্দুল মান্নানের ছেলে ইশতিয়াক, ইন্তাজ ও ইনজামুল।

আহত উজ্জলের দুলা ভাই ওয়াহিদুজ্জামান অভিযোগে বলেন, আমি একজন ডিস ব্যবসায়ী ও চুড়াইন বাজারে আমার জেনারেটরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ২০২০ সালে স্থানীয় বখাটে ইশতিয়াক, ইন্তাজ ও ইনজামুল আমার কাছে চাঁদা দাবী করলে আমি রাজী না হলে তারা আমার উপর চড়াও হয়ে দোকানে হামলা চালায়। পরে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া সত্ত্বেও গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে রাস্তার উপর পেয়ে আমার শ্যালক উজ্জলকে হাতুড়ি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে তাকে মারাত্বক রক্তাক্ত জখম করে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবনতি দেখে তাকে ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং সেখানে তিনি চিকিৎসা নেন।

আহত উজ্জল বলেন, ‘শুক্রবার আমি আমার বন্ধুর সাথে ঘুরতে যাই। আমার বাড়ির আশপাশে তারা ওঁত পেতে ছিলো। সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকার সময় ইশতিয়াক, ইন্তাজ ও ইনজামুল আমার উপর হামলা করে। তাদের হাতে থাকা হাতুড়ি ও চাপাতি দিয়ে আমাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ’

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে নেশাসহ বিভিন্ন অপকর্মে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও গ্রামে কেই কথা বলার সাহস পায় না। তারা অন্যায় করলে চেয়ারম্যান মেম্বাররা বিচার করার সাহস পায় না।

অভিযুক্তকারীর বাবা বাড়ৈখালী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ডিসের ব্যবসা আমার ছিলো বর্তমানে আমি আমার ভাতিজা ওয়াহিদুজ্জামা কে লিখিতভাবে দিয়ে দিয়েছি। আমার ছেলেরা ঢাকায় লেখাপড়া করে। আমি কোন অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেই না। অন্যায়কারী যেই হউক আমার ছেলে হলেও তার বিচার হবে।

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার উপ-পরিদর্শক খন্দকার জিয়াউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিনে গিয়ে ছিলাম মামলা প্রক্রিয়াধীন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: