জুড়ীতে মাল্টা বাগানে আলোর মুখ দেখছে সুজন
নিজ হাতে গড়া মাল্টার বাগান। বাগানে সারিবদ্ধ গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ডালে ডালে ঝুলছে মাল্টা। অনেক গাছ আবার ফলের বাড়ে নুয়ে পড়েছে। মাল্টার বাগান দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন হরহামেশা। উচ্চ শিক্ষিত হয়েও চাকুরীর পিছনে না ঘুরে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সুজন নিজ হাতের মায়াবী ছুয়ায় গড়ে তুলেছেন মাল্টার বাগান। মাল্টার এ বাগান প্রতিনিয়ত সুজনকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এদিকে সুজনের মাল্টা বাগান নতুন করে জেলার মাল্টা চাষের ক্ষেত্রে সম্ভবনা জাগাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
আট বছর আগে উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমান মাষ্টারের ছেলে মশিউর রহমান সুজন সখের বসে পরীক্ষামূলক দুইটি মাল্টার চারা রোপণ করেন। সে বর্তমানে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন এ মাল্টার বাগান। ২০১৫ সালে লাগানো দুটি মাল্টার চারায় ব্যাপক ফলন আসে ২০১৯ সালে। এতে উৎসাহ পেয়ে সুজন উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ২০২০ সালে উপজেলা কৃষি অফিস ১০ শতাংশ জমিতে রোপন করার জন্য তাকে ৩০ টি চারা দেন। পরে ২০২১ সালে ৪০ শতকে মিশ্র বাগান করার জন্য আরো ৪০ টি মাল্টার ও ৬০ টি কমলার চারা দেন কৃষ বিভাগ। এবছর ২০-২৫ টি মাল্টার গাছে ব্যাপক ফলন হলেও আগামীতে ১০২ টি কাছে ভালো ফলন হওয়ার আশা করছেন সুজন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার, কীটনাশক, স্প্রে মেশিন পাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত পরামর্শ পেয়েছেন বলে জানান এ মাল্টা চাষী। প্রতিদিন তার এ ফলের বাগান দেখতে উপজেলার অনেক মানুষ ভিড় করছে। তাকে অনুসরণ করে এলাকায় বিছিন্নভাবে অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
সুজন বলেন, বাজারে বিভিন্ন জাতের ফলে ফরমালিন ব্যবহারে মানবদেহে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। নিজের পরিবার ও মানুষ যাতে নিরাপদ ফল খেতে পারে এ চিন্তা থেকেই কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে মাল্টার বাগান করেছি। অল্প পরিশ্রমে কম খরচে মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। তার বাগানে বারি-১ জাতের ১০২ টি মাল্টার গাছ রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছর পর ফলন শুরু করে। তিন বছর পর একটি গাছে পুর্ণাঙ্গরূপে ফল ধরা শুরু করে। প্রতিটি গাছে ৩০০ থেকে ৪০০টি ফল আসে। তার বাগান দেখে অনেকেই মাল্টা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, শিক্ষিত বেকার যুবকরা যাতে মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে সে লক্ষ্যে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মাল্টা চাষ করে সুজন সফল হয়েছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবসময় তাকে পরামর্শ হচ্ছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বানিজ্যিক ভাবে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলের মাটিতে মাল্টা চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার জুড়ী, বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া উপজেলার মাল্টা চাষীদের আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: