মসজিদ ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫৩ পিএম

আরিফ হোসেন, চরফ্যাসন (ভোলা) থেকে: ভোলার চরফ্যাসনের ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নে মসজিদ ফান্ডের প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও ওসমানঞ্জ মডেল নিম্ম মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ নুর হোসেন ওরফে হোসেন দেওয়ানের বিরুদ্ধে। দির্ঘ ২০ বছর আপীল উদ্দিন বেপারী বাড়ির দরজার জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক থেকে নানান ভাবে ওই টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। মসজিদ ফান্ডের অর্থ নয় ছয়ের বিষয় কমিটির অপর সদস্য ও মুসুল্লিদের নজরে আসলে এঘটনায় গত ১০ অক্টোবর মসজিদের মুসুল্লিরা ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগটির তদন্ত চলছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

জানা যায়, ১৯৭০ সনে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আপীল উদ্দিন বেপারী বাড়ির দরজার জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব নেন স্কুল শিক্ষক নুর হোসেন। নিজের স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় নিজের পেশীশক্তি প্রয়োগ করে ওই মসজিদ কমিটিতে প্রায় ২০ বছর সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি ঢাকায় নিজের কর্মস্থলে থাকার সুযোগে স্কুল শিক্ষক নুর হোসেন মসজিদে মানুষের দেয়া দান ও ৪০ শতাংশ জমির আয় ব্যায়ের টাকা নিজে হাতিয়ে নেন। সম্প্রতি সময়ে তিনি মসজিদ উন্নয়নের কথা বলে মসজিদের দানকৃত ৪০ শতাংশ জমির মাটি খনন করে বিক্রি করে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

মসজিদ কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি প্রায় ২৫ বছর যাবত আফিল উদ্দিন বেপারী বাড়ির দড়জায় অবস্থিত জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। স্কুল শিক্ষক নুর হোসেন নিজের পেশীশক্তি খাটিয়ে ওই মসজিদের সাধারন সম্পাদক পদ ভাগিয়ে নেন। তিনি কর্মস্থল ঢাকায় থাকার সুযোগে শিক্ষক নুর হোসেন সক্রিয় ভাবে মসজিদে মুসুল্লিদের দানের এবং মসজিদের জমির মাটি বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। টাকা আত্মসাতের বিয়ষ কমিটির নজরে আসলে তিনি মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক পদ থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করে সব টাকা পরিশোধের অস্বীকার করেন। তিনি মসজিদের কোন টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো কমিটির সদস্যদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।এঘটনায় মসজিদ কমিটির সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরবার লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি তারা।

অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক নুর হোসেন জানান, মসজিদ কমিটি আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তুলেছে। নিষ্ঠার সাথে মসজিদ পরিচালনা করে আসছিলাম। এখন আমি ওই মসজিদ কমিটিতে নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, মসজিদ কমিটির লিখিত অভিযোগটি ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আমিনুল ইসলামকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: