প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে, প্রতি বছর ঝড়ে পড়ছে ১০ হাজার শিশু

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ০৬:০৩ পিএম

ফরিদপুর সরকারি প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী রেবী বেগম বলেন স্যার আমাদের সপ্তায় ৩ দিন ক্লাস নেন, এর মধ্যে ১দিনও ইংলিশ ক্লাস হয়না। আমরা ইংরেজী অক্ষর শিখেছি কিন্তু ইংলিশে নাম ঠিকানা লিখতে পারব না। স্যার শিখাইলে তো শিখমো।

নবীগঞ্জে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বেশীর ভাগ ছাত্র/ছাত্রী ইংরেজী ও অংকে দুর্বল। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী ইংরেজীতে নিজেদের নাম ঠিকানা লিখতে পারে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়ার মান অত্যন্ত নিম্ন হওয়ায় বেশীর ভাগ অভিভাবকরা এখন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিক থেকে মুখ ফিরেই নিচ্ছেন। তাদের ছেলে-মেয়েদের বেশীর ভাগই এখন বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন ও এনজিও প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি করছে।

নবীগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা মুখ থুবড়ে পড়ার পিছনে রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা, শ্রেণী কক্ষ ও আসবাবপত্রের অপ্রতুলতা, শিক্ষার উপকরণের অভাব, অবকাঠামোগত নানান সমস্যা, খেলাধুলার সরঞ্জামের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। নেই সঙ্গে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনিয়মিত পাঠদান, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত ক্লাস না করলেও নেই কোন তদারকি এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলো পরিদর্শনে যাচ্ছেনা যথানিয়মে। প্রভৃতি কারণে উপজেলার সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অবনতির শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসীনতা পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলেছে।

উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা ও পরিদর্শকরা মফস্বলের বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পরিদর্শনের যান না। প্রতি বছর উপজেলার গ্রাম অ ল গুলোতে অন্তত পক্ষে ১০ হাজার শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ছে। এসব ঝড়ে পড়া শিশুদের নিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে নবীগঞ্জে কয়েকটি এনজিও সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে। এফআইভিডিবি, সেভরণ বাংলাদেশ, ব্র্যাক এবং সরকারি টিএলএম প্রোগ্রাম। এসব সংস্থাগুলো নিজেদের অর্থায়নে প্রায় ৫ শতাধিক অস্থায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত আছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শতাধিক কর্মকর্ত।

এছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়নে নবীগঞ্জের লন্ডন প্রবাসীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন বৃত্তি দিয়ে আসছেন। সিলেটস্থ নবীগঞ্জ কল্যাণ সমিতি প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে প্রতি বছর বৃত্তি দিয়ে আসছে। তবুও শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে নবীগঞ্জ। এর নেপথ্যে কি করতে হবে তা নিয়ে উদবিঘ্ন শিক্ষানুরাগীরা।

নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরকারি বেসরকারি, কমিউনিটি, এনজিও, কেজি, এবতেদায়ি মাদ্রাসা, স্বতন্ত্র স্কুল মিলিয়ে মোট ৩৩৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ১৪৮ টি, বেসরকারি রেজিস্ট্রার্ড ২০ টি রেজিস্ট্রার্ডবিহীন বেসরকারি ৪ টি, কমিউনিটি স্কুল ৯টি, এবতেদায়ি মাদ্রাসা ১৮টি, স্বতন্ত্র স্কুল ৫টি রয়েছে। তার মধ্যে ২০০৪ সাল থেকে ৯টি কমিউনিটি স্কুল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া এনজিও সংস্থা এফআইভিডিবি’র শিখন পদ্ধতির রয়েছে ২১৬টি স্কুল তাদের ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে মোট ৬৪৮০ জন।

এনজিও সংস্থা ব্র্যাক এর রয়েছে ৭৯টি বিদ্যালয়, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা মোট ১৬৮০ জন। সরকারি বিদ্যালয়ে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ২৯১৬৮ জন, রেজিস্টার্ড বেসরকারি স্কুলে রয়েছে ২৮৮৮ জন, রেজিস্ট্রার্ডবিহীন বেসরকারি স্কুলে রয়েছে ৫৬২ জন, কমিউনিটি স্কুলে ৪২০ জন, এনজিও স্কুলে ৩০০২ জন, কেজি স্কুলে ১০৬৯ জন, এবতিদায়ি মাদ্রাসায় ৫৫২৩ জন।

এদের মধ্যে মোট ছাত্র সংখ্যা ১৯৪২১ জন ও ছাত্রীসংখ্যা ২১২১০ জন। উপজেলার সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক পদ সংখ্যা ৫৪৭টি ও বেসরকারি ৮০টি। এর মধ্যে অন্য পদে রয়েছে সরকারি স্কুলে ৩৫টি, এডিবি/আইডিবি প্রকল্পে ৯টি, বেসরকারি স্কুলে ৪টি। সর্বমোট ২৪টি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ ৪ টি। শিক্ষা অফিসেও রয়েছে জনবল সংকট। নেই কোন পিয়ন বা কেরানী, ৩ জন সহকারীর জায়গায় রয়েছেন ১ জন সহকারী দিয়ে চলছে নবীগঞ্জ শিক্ষা অফিস। সরকারি ১৪৮টি প্রধান শিক্ষক পদ ছাড়াও সহকারি শিক্ষক পদে রয়েছে ৩৯৯টি। আইডিয়াল প্রকল্প অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে ন্যূনতম ৪টি শিক্ষক পদ থাকার কথা থাকলেও কোন কোন স্কুলে ২ কিংবা ৩টি পদ রয়েছে। সরকারি নিয়মানুযায়ী ছাত্র- শিক্ষক অনুপাত ৫০.১ থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে দেখা যায় ৭০:১।

মফস্বলের কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা যায় সেগুলোতে নেই প্রয়োজনীয় আসন ব্যবস্থা, শিক্ষকরা প্রায়ই সময় মতো বিদ্যালয়ে যান না। ছুটির সময়ের আগেই বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের চিত্তবিনোদনের জন্য নেই কোন সুযোগ সুবিধা। প্রায় স্কুলেই খেলার মাঠ নেই। যেগুলোতে আছে সেগুলো দখলবাজরা দখল করে রেখেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে চলছে গ্রাম্য রাজনীতি। সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই, টয়লেটগুলোর অবস্থা করুন। কোন কোন বিদ্যালয়ে নলকূপ এবং টয়লেট অকেজো হয়ে পড়ে আছে। প্রতি বৎসর সরকার থেকে ২০ হাজার টাকা করে ম্যানেজিং কমিটির পরিচালনার জন্য প্রদান করা হলেও ঐ টাকা অনেক বিদ্যায়ের আনুসাঙ্গিক কাজে ব্যয় না করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে তা ভক্ষণ করছেন, এর প্রতিকার হচ্ছে না কোথাও।

অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেন, শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করেন। বিদ্যালয় পরিত্যাগপত্রের জন্য ৫০-১০০ টাকা গ্রহণ করেন। বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে অনেক শিক্ষক অভিযোগ করেন, শিক্ষা অফিসার ও কর্মচারীরা বদলিসহ ভাল জায়গায় নিয়োগের জন্য ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। তাছাড়া মেডিকেল ছুটি, মাতৃত্বজনিত ছুটি, ক্লাষ্টার ভাতা পেতে তাদের কিছু নগদ নারায়ণ তুলে দিতে হয়। সবার জন্য শিক্ষা সরকারের এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশব্যপী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও শিক্ষায় অনগ্রসর বৃহত্তর সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় তা কার্যকরে চরম অবহেলা প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্পভুক্ত বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে সরকারি স্কুলে ১৪২টি রেজিষ্টার্ড বেসরকারি ১৮টি, কমিউনিটি স্কুল ৪টি, মাদ্রাসা ২টি মোট ১৬৬টি বিদ্যালয়। কিন্তু তা বাস্তবে কতটুকু সুফল বয়ে আনবে তা বলা বাহুল্য। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভাকে ৯টি ক্লাষ্টারে ভাগ করে ৯ জন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তন্মধ্যে আবার ৬ জনের পদ শূন্য রয়েছে। ১ জন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের দায়ে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ২ জন সহকারী শিক্ষা অফিসার দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো মাসে ১ দিন ১টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করা সম্ভব হয় না।

সমগ্র উপাজেলার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা হতাশজনক। বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর হার ২০০২ সালে ২০%, ২০০৩ সাল ২১.১৫% ২০০৪ সালে ২২.১৮%। সরকারি এক শিশু জরিপে দেখা যায়, উনূর্ধ্ব-৬ বছরের শিশু রয়েছে ৮৭৭০ জন ও ৬-১০ বছরের শিশু রয়েছে ৪০৯৫৮ জন। এদের মধ্যে ২০০৫ সালে ৯৯.৫০% বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি হিসাবে দেখা যায়, স্কুলে গমনোপযোগী শিশু-কিশোরের সংখ্যা প্রায় ৬০-৭০ হাজার। এদের মধ্যে স্কুলে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার।

বাকি ২৫ হাজার শিশু-কিশোর শিক্ষার সুযোগ থেকে বি ত হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলার ৩৫৮টি গ্রামের মধ্যে ১৮১টি গ্রামে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। এসব গ্রামের শিশুরা শিক্ষা হতে ঝরে পড়া মোট ছাত্রছাত্রী ২০৪১ জন, যা ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া জাতির জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখা দিয়েছে। নবীগঞ্জের সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থাকে মানোন্নয়ন করতে হলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আজাদ মিয়া বলেন, বাংলা একাডেমির নতুন সংস্করন শব্দ ও বানান গুলো যথাযথ প্রচার না পাওয়াতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বানান শিখাতে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছেন।

এছাড়া অন্য এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, শিক্ষকরা স্কুলের বেতন-ভাতা তুলতে অনেক সময় নিজেরাই আমাদের স্বাক্ষর দিয়ে দেন। অনেক শিক্ষক সবকিছু গোপন রেখে নিজেই রেজুলেশন করে নেন স্কুলের শিক্ষক আমাদের না জানিয়ে নিজে মন গড়া মতোই স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন করেছেন, তিনি মাসে ১ বার স্কুলে আসেন আর এসব কাজ যারা সমর্থন করেন তাদেরকেই সভাপতি বানিয়েছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক কবির হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান এতটাই নিম্ন হয়েছে যে, বিদ্যালয়গুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা এ, বি, সি লিখতে পারে না। বাংলা শব্দের বানানে রয়েছে অসংখ্য ভুল। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আমাদের সন্তানকে কেজি স্কুলগুলোতে পাঠাতে হয়। সিলেটস্থ নবীগঞ্জ কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডাক্তার আব্দুল হাই চৌধুরী বলেন আমরা প্রতি বছর প্রাইমারী স্কুল ও এবতেদায়ী মাদ্রাসার স্কুলগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করি।

কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে না। শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। অন্যতায় শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। সেভরন বাংলাদেশের মিডিয়া ইনর্চাজ বদরুদোজ্জা বদর বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে আমাদের কোম্পানী প্রতি বছর কয়েক লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান নবীগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে আসছে। আমরা কয়েকটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষক নিয়োগ করেছি।

এনজিও সংস্থা এফআইভিডিবি’র সমন্বয়কারী বলেন, শিক্ষার আলো থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এফআইভিডিবি কাজ করছে। সার্বিক ভাবে শিক্ষার মানোন্নয়নই আমাদের কাজ। ব্র্যাকের ব্রা ম্যানাজার বাবুল চন্দ্র সরকার বলেন, ব্র্যাক বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ঝড়ে পড়া শিশুদের নিয়েই কাজ করছে। আমরা যেসব গ্রামে জরিপ করে দেখেছি, ড্রপ আউট শিশু বেশি সেইসব গ্রামেই আমরা অস্থায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছি। তাই শিক্ষার উন্নয়ন আমাদের মূল লক্ষ্য। নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, নবীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষার মান পর্যাপ্ত নয়।

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। বিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কম। তাই যেসব বিদ্যালয়ে ৪ শিক্ষক বিশিষ্ট্য পদ রয়েছে, সেগুলো ৫ শিক্ষক পদ করে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ বাড়ানো প্রয়োজন। তখনি শিক্ষার মান আশানুরূপ পাওয়া যাবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: