আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই: ঈদী আমিন-মেহেদী ফের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:০৮ পিএম

ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে দুই জঙ্গি অপহরণের মামলায় আসামি ঈদী আমিনকে ছয়দিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মোশাররফ হোসেন শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন রিমান্ড শেষে পুলিশ আসামিকে আদালতে হাজির করে। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ঈদী আমিনকে ১১ দিন এবং মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামি ঈদী আমিনের ছয়দিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত এবং সবুরকেও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে তারা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও সাত-আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জন সদস্য দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান নেয়। এছাড়া আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: