পীরগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের অনাস্থা, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৪৪ পিএম

একক সিদ্ধান্তে পরিষদ চালানো, সদস্যদের অবমূল্যায়ন, এলজিএসপি, ভূমি হস্তান্তর ১%, হাটের ইট, রাবিশ ও মাটি বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ইউ.পি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এহেন অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যরা সংখ্যা গরিষ্ঠের ভিত্তিতে অনাস্থা এনে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

ঘটনাটি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের। ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন পাওটানা বাজারে বহুতল বিশিষ্ট মার্কেট নির্মানের জন্য পূর্বের হাটের শেট, রাবিশ ও মাটি বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ছাওলা ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার বিভিন্ন সময়ে ঝরে পরা গাছ পরিষদের মাঠে সংরক্ষিত ছিল সেগুলো চেয়ারম্যান বিক্রি করেছেন বলে আইয়ুব হোসেন মেম্বার দাবি করেন।

পরিষদের ৯ সদস্য চেয়ারম্যান নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে ১৬ টি অভিযোগ এনে অনাস্থা নিয়ে আসেন। তাদের এই অনাস্থার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেছেন। যাতে করে চেয়ারম্যান স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারেন। ১৬ টি অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ১২২৬৫টি খানার হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা আত্মসাৎ, হাট বাজারের ৫% আত্মসাৎ, ভূমি হস্তান্তরের ১% আত্মসাৎ, এলজিএসপি আত্মসাৎ, জন্ম নিবন্ধন ও করোনাসামগ্রীর বিপরীতে ৯২,৫০০/= টাকা আত্মসাৎ,হাটের ইট, মাটি,রাবিশ বিক্রি করে আত্মসাৎ করা, সুনিদিষ্ট বিষয় না দিয়ে পরিষদের সভা করে ইচ্ছে মত রেজুলেশন তৈরী করা, বয়স্ক,বিধবা,প্রতিবন্ধীভাতা জনস্বাস্থ্যের টিউবওয়েল, টিসিবি সুবিধা ভূগী নির্বাচনে ইউপি সদস্যদের বাদ দিয়ে তার নিজ দলীয় বিএনপির নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করা, ইউপি আইন অনুযায়ী, প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন না করা, পরিষদ কমপ্লেক্সে সদস্যদের জন্য সুনির্দিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ না দেয়া এবং সদস্যরা চেয়ারম্যানের অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তার দলীয় নেতা কর্মীদের দিয়ে হুমকি দেয়া। অভিযুুক্ত চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: