মানিকগঞ্জে ইভ টিজিংয়ে বাঁধা দিয়ে হামলার শিকার দুই যুবক

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৫০ পিএম

স্কুল ছাত্রীকে ইভ টিজিং (উত্যক্ত) করায় বাঁধা দিয়ে বখাটেদের হামলার শিকার হয়েছেন দুই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। এঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।

আহতরা হলেন, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার মাটিকাটা এলাকার মঙ্গলের ছেলে তারেক হোসেন (২৫) এবং একই এলাকার মইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২৪)।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কুমুল্লী বাচ্চু মিয়া মডেল হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সলিমুদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কুমুল্লী গ্রামের রনি, মেহেদী, হারুনওর রশিদ, হৃদয়, কোহিনুর ওরফে সাধু, সোহান দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুল ছাত্রীকে বাড়ী ফেরার পথে উত্যক্ত করত। এ বিষয় নিয়ে আমরা অভিযুক্তদের পরিবারে একাধিকবার জানিয়েছি। রবিবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র তারেক এবং বর্তমান ছাত্র আব্দুল্লাহ বাঁধা দিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে বখাটেরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঘটনার দুদিন পর মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে গ্রাম্য শালিশ বসানো হয়েছে। শালিশে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সলিমুদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যন আলাউদ্দিন, সাবেক মেম্বর মহিদুর রহমান শিবির, জামশা ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোমান পারভেজসহ উভয় পক্ষের প্রায় পাঁচ শতাধিক লোকজন উপস্থিত হয়। তবে শালিশে কোন সুরাহা সম্ভব হয়নি।

বিদ্যালয় মাঠে শালিশ বসানোর বিষয় জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. সলিমুদ্দিন বলেন, ‘এমন ঘটনা থেকে অনাস্থা কাটাতেই সকলকে নিয়ে বসা হয়েছিল যাতে করে সকল অভিভকর তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আস্থা পায়। এটা কোন বিচার-শালিশের বিষয় ছিল না।’

অভিযোগের বিষয়ে সত্ততা নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, শিক্ষার্থীর মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তের জন্য এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু স্থানীয়ভাবে বিচার-শালিশের বিষয়ে তিনি অবগত নন বলেও জানান।

এ বিষয়ে হাটিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মনির হোসেন বলেন, এটা গ্রামে বসে মিমাংশা করার মতো কোন বিষয় না। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচারের দাবী করেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: