পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:২৯ পিএম

নিজ পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষা করতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এস. এম রেজাউল তারেক নামের এক ভুক্তভোগী। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার সময় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের সময় লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী বলেন, আমি পটুয়াখালী পৌর এলাকার সরকারী মহিলা কলেজ সড়কস্থ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ ইতালি প্রবাসী ছিলাম। আমাদের পিতা মৃত আবদুল মজিদ সিকদার মৃত্যুর আগে আমাদের চার ভাইকে শহরের মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে আমাদের চার আপন ভাইকে ৪ কাঠা জমি দানপত্র দলিল দিয়ে যান। সেই জমি আমাদের ভাইদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ভাগাভাগি হয়নি।

তাছাড়া আমার সেজো ভাই মোঃ মিজানুর রহমান তার ভাগের জমি বিক্রি বাবাদ রেজিস্ট্রির মাধ্যমে আমার থেকে ২০ লাখ টাকা নেয়।আমি দেশে আসার পরে আমার নামে দলিল রেজিস্ট্রি করিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু আমার দেশে ফিরতে দেরী হওয়াতে সেই সুযোগের ব্যবহার করে বহিরাগত কাওসার মৃধা নামের এক ব্যক্তির কাছে তার ভাগের জমি বিক্রি করে দেয়।

এদিকে কাওসার মৃধা আমাদের বাকি তিন অংশীদারদের সাথে কোন আলোচনা বন্টন না করেই সন্ত্রাসী সাথে নিয়ে পেশিশক্তির ব্যাবহার করে খেয়াল খুশি মতো আমাদের পৈতৃক জমিতে বিল্ডিং নির্মানের কাজ শুরু করে। আমি বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর এসব ঘটনা জানতে পেরে কাওসার মৃধার কাছে নির্মানের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আমাকে সন্ত্রাসী দ্বারা খুন জখমের হুমকি দেয়। এক পর্যায় আমি বাধ্য হয়ে অংশীদারদের মধ্যে বন্টন ডিক্রি পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দেওয়ানি মামলা দায়ের করি ও সম্পত্তি বন্টনের ডিক্রি না পাওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী আবেদন করিলে আদালত থেকে বিরোধীয় জমিতে স্থিতি অবস্থা রাখার নির্দেশ দেন।

পরে আমি আদালতের আদেশপত্র নিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কাছে গেলে তিনি সদর থানার ওসিকে ব্যাবস্থা নিতে বলেন। কিন্তু ওসি কোন ধরনের ব্যাবস্থা নেয় নাই। এদিকে কাওসার মৃধা আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে বিল্ডিং নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ভাবে মৃত্যুর হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন আমাকে। জীবনের নিরাপত্তা ও পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: