কেরানীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু

নাসির উদ্দিন টিটু, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) থেকে: কেরানীগঞ্জের ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের রাজেন্দ্রপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অনিক(১৮) ও শাওন (১৭) নামের দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত অনিক রাজধানীর মুগদা থানাধীন মানিকনগর এলাকার ইদ্রিস আলী এবং শাওন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উপজেলার চিল্লা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তারা দুজনেই নবাবপুর এলাকায় সাইনবোর্ডের দোকানে চাকরি করতো।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই অনিকের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে সাথে থাকা অন্য বন্ধুরা তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে রাত আড়াইটায় শাওনের মৃত্যু হয়।
অনিকের বড় ভাই ইয়াসিন মিয়া জানান, রাতে দাওয়াতের কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয় বন্ধু মিলে মাওয়া ঘুরতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে যাওয়ার সময় রাজেন্দ্রপুর এলাকায় একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি অনিক ও তার বন্ধু দুজনেই মারা গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গভীর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার দুই কিশোরকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে পথিমধ্যেই একজনের ও হাসপাতালে আমার কিছুক্ষণের মধ্যেই অপরজনের মৃত্যু হয়। মরদেহ দুটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শামীম আল মামুন জানান, রাতে ঢাকা থেকে মাওয়া যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: