দ্বিতীয় দিনেই মেট্রোরেলের আয় কমলো আড়াই লাখ টাকা

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:২৭ এএম

গত ২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আর এর মাধ্যমেই মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। উদ্বোধনের পরদিন থেকেই তা গণমানুষের যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে  । তবে প্রথম দিনে যেভাবে মেট্রোরেল থেকে আয় হয়েছে, দ্বিতীয় দিনে তার অর্ধেকও হয়নি। প্রথম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিনে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪০ টাকা আয় কমেছে। অথচ প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের ট্রিপ সংখ্যা ছিল একই, ৫০টি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, প্রথম দিন প্রথম দিন অর্থাৎ গত ২৯ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের সিঙ্গেল টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯৬টি। প্রতি টিকিটের দাম ৬০ টাকা। মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য ৩০৪টি এমআরটি পাস বিক্রি হয়। প্রতিটি পাসের দাম ৫০০ টাকা। এর মধ্যে কার্ডের জামানত ২০০ টাকা, বাকি ৩০০ টাকা ব্যালান্স, যা দিয়ে ভ্রমণ করা যাবে। আর কার্ড জমা দিলে জামানতের টাকা ফেরত দেবে সরকার। সব মিলিয়ে প্রথম দিনে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫২০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়।

তবে এর  দ্বিতীয় দিন দেখা যায় সম্পুর্ন ভিন্ন চিত্র। গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) মাত্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। অথচ দুই দিনই ট্রিপ সংখ্যা ছিল ৫০টি। অর্থাৎ আগারগাঁও থেকে উত্তরা স্টেশনে ২৫ বার এবং উত্তরা থেকে আগারগাঁও সমানসংখ্যক বার, মোট ৫০টি ট্রিপ হয়েছে আজ। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ট্রিপ সংখ্যা একই হলেও ভাড়া কমেছে অনেক। অথচ মেট্রোরেলে চড়তে না পেরে হাজারো মানুষ বাড়ি ফিরে গেছে।

মাত্র ১ দিনের ব্যাবধানেই আয় কমে যাওয়া প্রসঙ্গে ডিএমটিসিএল জানায়, প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ট্রিপ সংখ্যা একই ছিল অথচ সরকারের আয় হয়েছে অনেক কম। এর প্রধান কারণ টিকিট বিক্রি মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়া। অনেকে টিকিট বিক্রয় মেশিনে ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট দিয়েছেন, ফলে মেশিন আর টাকা ফেরত দেয়নি। অনেকে ছেড়া-ফাঁটা ও পুরাতন নোট দিয়েছেন, এতে করে মেশিন রিড আউট করতে পারেনি। এসব কারণে অনেক কোচ ফাঁকা গেছে, ফলে আয়ও কম হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: