নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতল রাঙ্গামাটির ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৩ পিএম

নতুন বছরের প্রথম দিন নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতল পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে লেগেছে উৎসবের ছোঁয়া। খালি হাতে বিদ্যালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছে নতুন বই নিয়ে। বছরের শুরুর দিনে প্রথম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বই বিতরণ উৎসব দিবস’। নতুন বছরের প্রথম দিনে হাতে নতুন বই পেয়ে উৎসাহিত শিক্ষার্থীরা। বই বিতরণ উৎসবকে ঘিরে রাঙ্গামাটির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত পাঠ্য পুস্তক বিতরণ উৎসবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণগুলো।

সারাদেশের ন্যায় রাঙ্গামাটিতেও প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুলে বই বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাঙ্গামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও রানী দয়াময় উচ্চ বিদ্যালয়ের বই বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসরিন সুলতানা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মৃদুল কান্তি তালুকদার সহ শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নতুন বছরে প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পেরে আনন্দিত। নতুন বছরে বই দিতে পাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই।

এদিকে রাঙ্গামাটি বনরুপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। এ সময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। একটি উন্নতি জাতি গঠন করতে হলে শিক্ষা অর্জনের কোন বিকল্প নেই। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত রাষ্ট্রের কথা বলছে বর্তমানে দেশ ২০৪১আসার আগে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। পুরো দেশ এখন ডিজিটাইলেজন হয়েছে।

অপরদিকে, পাহাড়ে এ বছর প্রাথমিক পর্যায়ে শিশু শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৬৬ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে মাতৃভাষায় রচিত বই তুলে দেওয়া হয়। এতে করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বইয়ের মধ্যে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ভাষায় রচিত বইগুলো আকর্ষণীয় হওয়ায় শিশুরা পড়ালেখায় অনেক আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

রাঙ্গামাটি জেলা শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এবার প্রাক-প্রাথমিক হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত রাঙ্গামাটির ১০টি উপজেলায় ৮৯ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫২৯টি বই বিতরণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে চাকমা, মারমা এবং ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৮০৬জন। এদের ৪টি শ্রেণী প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেনী পর্যন্ত বইয়ের সংখ্যা ৬৬ হাজার ২৫০ টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: