নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ, চারদিন পর মিলল লাশ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজের চারদিন পর আল ইমরান নামে দুই বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের খাইয়ার গ্রামের নানার বাড়ির একটি ডোবা থেকে শিশুটির উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আল ইমরান বুড়িরপাড় গ্রামের প্রবাসী মো. জসিম উদ্দিনের পুত্র। এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা মোসা.হাসিনা বেগম।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, শিশুটির মা হাসিনা বেগম শিশুটিকে নিয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর স্বামীর বাড়ি বুড়িরপাড় থেকে খাইয়ার গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। প্রতিদিন বাড়ির অন্য শিশুদের সাথে ইমরান খেলাধুলা করত। গত ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে বিদেশ থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ইমরানের সাথে কথা হয় তার বাবার।
এরপর সে বাড়ির অন্য শিশুদের সাথে খেলতে যায়, এর কিছুক্ষণ থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। বাড়ির অন্য ছেলেদের জিজ্ঞাসা করেও কোন হদিস মেলেনি। এরপর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় ইমরানের মরদেহটি ভাসতে দেখেন বাড়ির লোকজন। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ইউপি সদস্য মো. সোহেল রানা বলেন, ১৮ দিন আগে শিশুটির তার মায়ের সাথে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ৩১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। মঙ্গলবার বাড়ির লোকজন পাশের একটি ডোবায় মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে গিয়ে শিশুটি ডোবায় পড়ে মারা যায়।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, শিশুটির মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। শিশুটির মরদেহ সুরতহাল রির্পোট করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: