বুড়িচংয়ে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার এক আসামি আটক

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে রায়হান খান (১৫) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আব্দুল্লাহ'কে আটক করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়,রোববার দুপুরে উপজেলার শংকুচাইল গ্রামে কয়েকজন যুবক লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রায়হানকে পিটিয়ে পাশের নদীতে ফেলে যায়। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার পথে রায়হানের মৃত্যু হয়। পরের দিন সোমবার নিহত রায়হানের মা রোজিনা আক্তার হত্যার সাথে জড়িত এজহার নামীয় ৪জনসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। হত্যাকান্ডের পর আসামিরা পালাতক ছিল।

তাদের মধ্যে একজন অন্যতম আসামি ও জগতপুর গ্রামের দালাল গোষ্ঠীর মৃত মোঃ হাসেমের ছেলে আব্দুল্লাহ সোমবার রাতে বাকশীমূল ইউনিয়নের আনন্দপুর সীমন্ত এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত পরিদর্শক এসআই জাহাঙ্গীর ও সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

ওই কিশোর ছাত্র রায়হান শংকুচাইল গ্রামের হাফিজ মেম্বারের বাড়ির সৌদি প্রবাসী গিয়াস খানের ছেলে এবং শংকুচাইল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিহত রায়হানের মা রোজিনা জানান, আমার ছেলে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত জগতপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে হাসান(২৫), অজ্ঞাত পিতার ছেলে রুহুল আমিন(২৪),রাজা মিয়ার ছেলে হৃদয় (২৫), আবুল হাসেমের ছেলে আব্দুল্লাহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।আমি শুনেছি পুলিশ একজনকে আটক করেছে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রায়হান তার সহপাঠীদের সঙ্গে পূর্ণমতি সড়ক এলাকায় সেচ পাম্পে গোসল করছিল। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত কয়েকজন দুই মেয়েকে নিয়ে ওই সড়কে আসেন। একপর্যায়ে ওই যুবকরা তাদের সঙ্গে থাকা মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় জড়ায়। এ দৃশ্য দেখে রায়হান ও তার সহপাঠীরা হাসাহাসি করে।

পরে ওই যুবকরা এসে রায়হানদের কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে রায়হানদের বাকবিতণ্ডা হয়। তখন ওই যুবকরা মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে সহযোগীদের ডেকে এনে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রায়হানকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে পাশের ঘুংগুর নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় রায়হানের সহপাঠীরাও মারধরের শিকার হন, তবে তারা সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহত রায়হানকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিতে বলেন। ঢাকা নেয়ার পথে রায়হান মারা যান।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান বলেন, রায়হানের হত্যা মামলার আসামি আব্দুল্লাহকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।অন্যান্য অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চলমান রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: