আখাউড়ায় রাস্তা ভেঙে নদীতে চলাচলে দুর্ভোগ তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ফসলি জমি

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০১ পিএম

মোহাম্মদ আবির, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওরা নদীতে বিলীন হচ্ছে পাকা সড়ক। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও এলাকাবাসী। হাওরা নদীর পাশে ব্লক না থাকার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ পাকা রাস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়তই এ রাস্তা ভেঙে নদীতে চলে যাচ্ছে। মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দুর্ঘটনার ভয়ে মানুষ রাতে চলাচল বন্ধ রেখেছে।

রাস্তাটির ভাঙনের কারণে যেতে পারছে না কোনো জরুরি সেবা গ্রহণকারী যানবাহন। রাস্তাটি আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া কবরস্থান এলাকায় ভাঙনের কবলে পড়েছে।

আর এই ভাঙনের কারনে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করতে পারছে না। এ অবস্থায় যাতায়াতে খুবই অসুবিধা ভোগ করছেন কৃষকরা। এ ভাঙনের ফলে যে কোনো সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে রাস্তাটির,পাশাপাশি ২ হাজার বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।সড়কটির ভাঙ্গন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি রাস্তাটি সংস্কার কাজের পাশাপাশি ব্লক দিতে হবে এবং নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।

এ বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে গেলে আমাদের চলাফেরায় অসুবিধা হবে। সেই সাথে জমিতে আবাদ করতে পারব না। খাদ্য উৎপাদন করতে সমস্যা হবে। দ্রুত সড়ক ভাঙ্গন বন্ধ করলে আমাদের অনেক উপকার হবে।

অটোচালক কাইয়ুম মিয়া বলেন, রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখনই গাড়ি চালাতে ভয় করে। আরও যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে গাড়ি চলাচল করতে পারব না। তাতে আমাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। ছেলে মেয়ে নিয়া খুব সমস্যায় পড়বো।

এ ব্যপারে পানি উন্নয়ন বিভাগে উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, সড়ক ভাঙ্গার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এ ব্যপারে ঢাকায় নোটিশ পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ করতে পারব।

আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে নিয়ে আমি সড়কটি পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এ বাঁধটি আবার মেরামত করা হবে। কয়েক মাসের ভিতরে হওয়ার কথা রয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে সড়ক ভাঙ্গার বিষয়ে অবগত হয়ে আমি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলামকে নিয়ে বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। এ ব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আমাকে জানিয়েছে। আমি যোগাযোগ রাখছি।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে উজানের পানির স্রোতে কর্ণেল বাজার এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তলিয়ে যায় বহু বাড়িঘরসহ ফসলি জমি। এতে দুর্ভোগে পরে এলাকার ১০টি গ্রামের মানুষ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: