বান্দরবান আদালতে সশস্ত্র ও জঙ্গি সংগঠনের ২০ সদস‍্যকে আসামি করে মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০১ পিএম

নতুন গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার নিখোঁজ সদস‍্য আল আমিনের পিতা বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামী করে বান্দরবান আদালতে মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসারের উপদেষ্টা শামিম মাহফুজ, কুকি চিন ন‍্যাশনাল ফ্রন্টের প্রধান নাথান বমকেও আসামি করা রয়েছে। ছেলেকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করায় মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন মোঃ নুরুল ইসলাম।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনকে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন আসামিরা হলেন, কুমিল্লার মোখলেছুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান মাহমুদ (৩২), অজ্ঞাত সাং শামীম মাহফুজ স্যার (৪৭), নারায়ণগঞ্জের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন বাবু (৩৪), সিলেটের হাফিজ মাওলানা হোসাইনের ছেলে আব্দুল্লাহ মায়মুন ওরফে শায়েখ(৩৪), সিলেটের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসকুর রহমান রনবীর(৪৪), সুনামগঞ্জের মৃত সৈয়দ আব্দুল কালামের ছেলে সৈয়দ মারুফ আহমেদ মানিক (৩১), আব্দুল কাদের সুজন ওরফে ফয়েজ সোহেল, কুমিল্লার মৃত মমতাজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হাবিব (৩৫), বান্দরবানের জাওতন লনচেও এর ছেলে নাথানা লনচেও ওরফে নাথান বম (৫০), লাল মোহন বিয়াল ওরফে কর্নেল সলোমান (৫০), কর্নেল সলোমান (৫০), কুমিল্লার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বায়োজিদ ইসলাম মোয়াজ ওরফে বাইরু (২১), নোয়াখালীর আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নিজামুদ্দিন হিরন ইউসুফ ওরফে বাপুয়াল(৩২), বান্দরবানের সাংবেম বমের ছেলে লালদন সাং বম পাদন(২৭), কুমিল্লার আব্দুর রহমানের ছেলে দিদার ওরফে চম্পাই(২৭), সিলেটের আব্দুস সালামের ছেলে শিবির আহমেদ (২৬), অজ্ঞাত সাং ইসমাইল হোসেন হানজালা ওরফে ফাহিম, কুমিল্লার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সালেহ আহম্মদ সাইহা(২৭), সিলেটের মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাদিকুর রহমান সুমন ওরফে ফারকুন(২৯), কুমিল্লা মজিবুর রহমানের ছেলে ইমরান বিন রহমান শিথিল ওরফে বিল্লাল (১৮)।

বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি থেকে আটককৃত ৫ জঙ্গির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার বান্দরবানের মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গম রেমাক্রী প্রাংশার পাহাড়ি এলাকায় নিখোঁজ জঙ্গি আল আমিনের লাশের সন্ধানে সেখানে র‍্যাব সেনাবাহিনী অভিযান চালালেও কবরে কোন লাশের সন্ধান পায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত জঙ্গিরা জানায় আল আমিনকে হত্যার পর দুর্গম পাহাড়ে কবর দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযানের পর সেখানে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কে এন এফ) একটি পরিত্যক্ত আস্তানা ও কবরের সন্ধান পাওয়া গেলেও ঐ কবরে লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

অভিযানের আগেই কে বা কারা সেখান থেকে লাশ সরিয়ে ফেলেছে। এ ঘটনার পর নিখোঁজ জঙ্গি আল আমিনের পিতা বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। গত ২৩ আগস্টে কুমিল্লার কান্দির পাড় এলাকা থেকে তাবলীগে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন মোঃ আল আমিন। পরে তার খোঁজ না পেয়ে কুমিল্লা থানায় নিখোঁজের ডাইরি করেন তার বাবা। হত্যার পর প্রমাণ লুকাতে কবর থেকে লাশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ আল আমিনের পিতার।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: