তত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক ইস্যু, ইইউকে সিইসি

ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক দল নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করছে। এটি একটি রাজনৈতিক ইস্যু, আমাদের কতৃত্বের পরিধির বাইরে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক বৈঠকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলকে এমনটি জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠকটি চলে দেড়ঘণ্টাব্যাপী।এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল,নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান উপস্থিত রয়েছেন। তবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব ও রাশেদা সুলতানা এ বৈঠকে অংশ নেয়নি৷ এ ছাড়া ইসি সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে উপস্থিত ছিল। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এম্ব্যাসেডর চার্লস হোয়াইটলিসহ ১১ জন প্রতিনিধি ছিলেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন হোয়াইটলি।

লিখিত বক্তব্যে সিইসি বলন, সামনে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ আছে। আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখনো নির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একমত হতে পারেনি। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশ সহানুভূতিপূর্ণ নয়। নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক দল নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করছে। এটি একটি রাজনৈতিক ইস্যু, আমাদের কতৃত্বের পরিধির বাইরে।

সংবিধান ও আইনে প্রদত্ত কর্তৃত্বে বলে আমরা নির্বাচন আয়োজন করে থাকি। নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও আইনে অর্পিত ক্ষমতাবলে নির্বাচনের সময় সরকারের নির্বাহী কর্তৃপক্ষগুলোকে নানা নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন, এটা আইনি সত্য যে বর্তমান সরকার রাজনৈতিক সরকার। আমরা আশা করবো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সরকার তার রাজনৈতিক স্বত্বা ভুলে যাবে। আমরা বিশ্বাস করি সকল প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকার কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।

তিনি বলেন, গত এক বছরের কম সময়ের দায়িত্বকালে আমরা দু’টি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন, দু’টি সিটি করপোরেশ, ১৯ টি পৌরসভা, ৬১টি জেলা পরিষদ, একটি উপজেলা পরিষদ এবং ২১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ছাড়াও ১৩৭টি উপ-নির্বাচন করেছি। এসব নির্বাচন স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউরোপিয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল, সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।