দেশে প্রথম মরণোত্তর দানের কিডনি দুজনের দেহে প্রতিস্থাপন

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৬ পিএম

দেশে প্রথমবারের মতো মৃত ব্যক্তির দান করা কিডনি অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০ বছর বয়সী ব্রেন ডেথ রোগী সাহারা ইসলামের (মৃত) দেহ থেকে নেওয়া দুটি কিডনি দুজন কিডনি বিকল রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

এর ফলে একজন মৃত ব্যাক্তির থেকে বাচলেন আরও দুজন মানুষ। পাশাপাশি আলো দেখবেন দুজন। নিজের দুটো কর্ণিয়াও দান করে গেছেন সাহারা। বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সার্বিক নির্দেশনায় এবং প্রক্টর ইউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে এ ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকে কিডনি অপারেশন থিয়েটারে এ সফল অপারেশন করা হয়। বিএসএমএমইউ'র প্রক্টর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে দুটি চিকিৎসক দল এ অপারেশনে অংশ নেন।

জানা গেছে, সাহারার দুটি কিডনির একটি মিরপুরের বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী শামীমা আক্তারের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বিএসএমএমইউ'র কিডনি অপারেশন থিয়েটারে। সাহারার অপর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে কিডনি ফাউন্ডেশনে আরেক রোগীর দেহে। কিডনি ও কর্ণিয়া দানকারী সাহারা ইসলামের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অঙ্গদানের কাজে উদ্বুদ্ধ করেন বিএসএমএমইউ'র ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুজ্জামান সজীব।

অঙ্গদাতা সাহারা ইসলাম ১০ মাস বয়সে টিউমার স্কেলেলিস রোগে আক্রান্ত হন। এ রোগ নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করেন। এ লড়াই করা অবস্থায় সাহারা ইসলাম অগ্রণী গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ইউনিভার্সিটি অব ডেভলভমেন্ট আন্ট্রনেটিভে (ইউডা) ফাইন আর্টসে ভর্তি হন। সাহারা ইসলাম ফাইন আর্টসের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: