চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত; বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪২ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা নিচের দিকে নামছে এবং শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত মৌসুমের বেশির ভাগ সময়ই চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে গেছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। এরই মধ্যে বেশ কিছু দিন দেশের এবং মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়েছে, এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ। এর আগে বুধবার (১৮ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়েছে, এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়েছে, এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯০ শতাংশ।

সোমবার (১৬ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়, এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৮০ শতাংশ। রবিবার (১৫ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়, এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৮ শতাংশ। শনিবার (১৪ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়, এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৯ শতাংশ’। তিনি আরও বলেন, ‘এ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে’।

বেলা বাড়লেও কমছে না শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কাছে কাবু হচ্ছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। টান পড়ছে আয়-রোজগারে। আয় রোজগার কমে যাওয়ার কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

কাজের সন্ধানে চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রাম থেকে শহরের শহীদ হাসান চত্ত্বরে আসা শ্রমিক- ফকির মোহাম্মদ বলেন, ‘কাজের উদ্দেশ্যে তীব্র শীতের মধ্যেই ভোর বেলা আসতে হয়। কাজ পাবনা জেনেও চলে আসি, কোন একটা কাজ যদি পায় এই ভেবে। কাজ না করলে সংসার চলবে না’।

রং মিস্ত্রি মতিয়ার রহমান বলেন,‘আমার সাথে ১৫/১৬ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে। শীতের তীব্রতার কারণে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত সবাই বেকার বসে দিন পার করছি’।

চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্ত্বরের কিছু ভ্যান ও অটোরিক্সা চালকরা জানান, প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে থাকায় মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। খুব প্রয়োজনীয় কাজ না থাকলে কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। খোলা ভ্যানে ঠান্ডা বাতাসের কারণে কেউ উঠতে চাচ্ছে না। এতে আমাদের আয় রোজগার কমে গেছে। যারা ভাড়ায় অটোরিক্সা ও ভ্যান চালায় তারা সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। কারণ তাদের আয় রোজগার না হলেও তাদের ভাড়ার টাকা মহাজনকে পরিষোধ করতে হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: