হবিগঞ্জে সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: দুই কর্মচারী বরখাস্ত

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম

হবিগঞ্জের সরকারি বৃন্দাবন কলেজের সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলো- প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সহকারী শাহ মো. আব্দুল বশির ও ক্যাশিয়ার বাবুল মিয়া। বৃহস্পতিবার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার তাদের বরখাস্তের চিঠি দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাধারণ প্রশাসন শাখার উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ওই দুই কর্মচারীর বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হবে ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। এ ক্ষেত্রে এ দু'জনের চার বছরের বেতনের অর্ধেক টাকা জমা দিতে হবে সরকারি কোষাগারে। এর আগে ২০১৯ সালে একই ঘটনায় বরখাস্ত হয়েছিলেন কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ বিজিত ভট্টাচার্য্য। ওই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলা চলমান রয়েছে।

জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের পদে কর্মরত ছিলেন বিজিত ভট্টাচার্য্য। এ সময় ৫টি খাতে কলেজের সাড়ে ৪ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরে ২০১৪ সালে অধ্যাপক বদরুজ্জামান চৌধুরী অধ্যক্ষের পদে যোগ দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩১টি খাতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ১৮১ টাকা আদায় করা হলেও ব্যাংকে জমা ছিল মাত্র ১১ লাখ ১২ হাজার ৮১৩ টাকা।

একই সময়ের মধ্যে ব্যাংকে লেনদেন হয় ১ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৯৫৭ টাকা। যার মধ্যে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪১১ টাকা ব্যাংক হিসেবে স্থিতি থাকার কথা থাকলেও তা ছিল না। এ ছাড়া হদিস পাওয়া যায়নি কলেজের ১ কোটি ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪১১ টাকার। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১ কোটি ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪১১ টাকা জমা না দেওয়ার অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দুদক। সংস্থাটির পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ বিজিত ভট্টাচার্য্য, প্রধান সহকারী শাহ মো. আব্দুল বশির ও ক্যাশিয়ার বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হলে অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: