গত বছরের তুলনায় এবারের বইমেলাতে বেড়েছে প্রতিষ্ঠান ও স্টলের সংখ্যা

করোনা অতিমারির কারণে গত দুটি বইমেলা ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুসারে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হতে পারেনি অমর একুশে বই মেলা। এবছর পহেলা ফেব্রুয়ারিতে মেলা শুরুর কথা রয়েছে। চলতি বছর অমর একুশে বইমেলাতে অংশ নিচ্ছে মোট ৫৭৫ প্রতিষ্ঠান। গত বছর এ সংখ্যা ছিল মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে এবারের মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৭২টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১০টি স্টল ও বাংলা একাডেমীতে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছোট-বড় প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৪টি। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বইমেলার কার্যক্রম পরিদর্শন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পহেলা ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় মেলা উদ্বোধন করার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত পূর্ব সিদ্ধান্ত মোতাবেক বই মেলাকে ঘিরে যেমন সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেভাবেই এগোচ্ছে।

মুক্তিচিন্তার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বই মেলা প্রাণের মেলা; আমরা চাই না মুক্তচিন্তার নামে কেউ কটাক্ষ করুক। কোন বইতে হিংসা, বিদ্বেষ, অগ্রহণযোগ্য কিছু চাই না। একজনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো, অসত্য তথ্য মুক্তিচিন্তার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না।

মেলাতে আদর্শ প্রকাশনীকে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া প্রসঙ্গের ব্যাপারে তিনি বলেন, বই মেলার নিয়ম নীতির বাহিরে আমরা যেতে পারব না। তারা যদি সেই নিয়মনীতির মধ্যে আসে তাহলে তারা মেলায় অংশ নিতে পারবে। গেল বছর তাঁদের বইতে আপত্তিকর কিছু ছিল, সেই আপত্তি তাদের জানানো হয়েছে। ৮-১০ জনের জন্য যে নিয়ম আদর্শের জন্যও সেই একই নিয়ম প্রযোজ্য।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বইমেলার কিছু নীতিমালা আছে, যেসকল প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করবে তাঁদের সেই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। আর কেউ যেন নীতিমালার বাহিরে না যায়, সেজন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। মেলা শুরু হওয়া থেকে শেষ পর্যন্ত এ টাস্ক ফোর্স কাজ করবে।

মেলার নিয়ম নীতির সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি সময়ের ব্যাপার তাৎক্ষণিক চাইলে তো এটি সম্ভব না।”

প্রসঙ্গত, গেল বছর ২০২২ সালের বইমেলায় মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য রয়েছে ১৪২টি স্টল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ৬৩৪টি স্টল। ৩৫টি রয়েছে প্যাভিলিয়ন।

সেই দিক বিবেচনায় চলতি বছরের বইমেলাতে ১টি প্যাভিলিয়ন সংখ্যা কমলেও এবছর প্রতিষ্ঠান ও স্টল সংখ্যা দুটোই বেড়েছে।