ঢাবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের মশাল মিছিল

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম

শিবির সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে দুই শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এ মশাল মিছিল বের হয়। মশাল মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ শেষে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।

এদিকে মশাল মিছিলের আগে সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের দুই ছাত্রকে নির্যাতন করা হয়েছে। এভাবে প্রতিনিয়ত প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে, গণরুম-গেস্টরুমে শত শত শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও নিপীড়ন করা হচ্ছে। কখনও কখনও কিছু ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে আসে, আমরা সেগুলোর প্রতিবাদ করি। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে, সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িতদের তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্ত বুদ্ধি ও গণতান্ত্রিক চর্চার একটি জায়গা। এখানে যে কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। কিন্তু ক্ষমতাসীন সংগঠনগুলো দল ও মত দমন করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতন আমাদের আবু গারিব কারাগারের কথা মনে করিয়ে দেয়। হল গুলোতে যারা দায়িত্বে থাকেন তারা বেতনও নিয়ে থাকে অথচ তারা শুধু ১৬ ডিসেম্বর আর ২৬ মার্চে হলগুলোতে যায়। শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার সময় তাদের দেখ যায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানাই।

এ সময় সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা নির্যাতনে জড়িতদের এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার ও গেস্ট রুমে নির্যাতনবিরোধী আইন পাশের দাবি জানান। অন্যথায় শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, রোববার (২২ জানুয়ারি) বিজয় একাত্তর হলে শিবির সন্দেহে শাহ রিয়াদ মিয়া ও মাহমুদুল হাসান নামে দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এতে রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কয়েক ধাপে তাদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে সকালে হল প্রভোস্ট উভয় পক্ষের কথা শোনেন এবং ভুক্তভোগীকে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিবিরের সাথে কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা না পেয়ে শাহ রিয়াদকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে ওইদিন রাত ১১টায় ঢাবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শাহ রিয়াদ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: