অবৈধ জাল অপসারণে ভোলার নদীতে কম্বিং অপারেশন

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:১১ এএম

ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশসহ অনান্য মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চলছে। মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে গত ৪ জানুয়ারি থেকে এ অভিযান শুরু হয়ে দুই মাস পর্যন্ত চারটি ধাপে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপের অভিযান চলছে।

এর আগে ৪ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপের অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭’শ মিটার, ছোট ফাসের বেহুন্দী জাল ৫’শ ৭৭ টি। এছাড়া মশারি জাল, পাই জাল, বের জাল, খুটি জালসহ অনান্য জাল আটক করা হয়েছে ২’শ ৩১টি।

মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের অভিযানে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়েছে ৫৪ হাজার ৭’শ মিটার। বেহুন্দি জাল ১’শ ৩৮ টি। চরঘেরা, বের জাল, পাইজাল, মশারি, খুটি জালসহ মোট ১’শ ৬১টি জাল জব্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। এই সময়ে জেলায় ৭ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪২ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৩ টি মামলায় মোট ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এদিকে প্রথম ধাপে ১১ টি মোবাইল কোর্টে ৬৭টি অভিযানে কারেন্ট জাল ৩ লাখ ৭২ হাজার মিটার, বেহুন্দি জাল ৪’শ ৩৯ টি জালসহ অন্যান্য ৭০ টি জাল উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ৯টি মামলায় ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাটকা উদ্ধার হয়েছে ৫’শ ৮৮ কেজি।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ জানান, অবৈধ জাল নিয়ন্ত্রণ করে বৈধ জালের ব্যবহার বৃদ্ধি করা ও মাছের প্রজনন ক্ষেত্র এবং আবাসস্থল সংরক্ষণ করার জন্যই আমাদের এই অভিযান চলছে। অভিযানে মাছের সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ছোট ফাসের জাল ধ্বংস করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার উপকূলীয় এলাকা মাছের প্রজননের অন্যতম ক্ষেত্র। অবৈধ কারেন্ট জালসহ ছোট ফাসের জালগুলো আমাদের ইলিশসহ অনান্য মৎস্য সম্পদের জন্য ক্ষতিকর। ইতোমধ্যে অবৈধ এসব জাল নির্মূলে আমরা অনেকটাই সফল। মেঘনার চরগুলো অবৈধ জালমুক্ত করা হয়েছে। অচিরেই তেঁতুলিয়সহ সকল স্পট অবৈধ জাল মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলার প্রধান এই মৎস্য কর্মকর্তা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: